1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দিল বিএনপি গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে: প্রেসসচিব রাতেই চালু হচ্ছে মেট্রো রেল বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ কর্মকর্তার বদলি আসন্ন ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে চিকিৎসাধীন তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই নির্বাচনের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তাপ ল্যুভ মিউজিয়ামে চুরি: তদন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি উদঘাটন

প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কী ঘটে: বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৩ বার দেখা হয়েছে

ডিম এমন এক পুষ্টিকর খাবার, যা প্রায় প্রতিটি সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই খাদ্যটি সহজলভ্য এবং রান্নায় বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিম খাওয়া নিয়ে কোলেস্টেরল-সংক্রান্ত বিতর্ক থাকলেও, আধুনিক গবেষণা বলছে—পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

নিচে তুলে ধরা হলো, প্রতিদিন এক মাস ডিম খেলে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে—

১. পেশি শক্তিশালী করে

ডিমকে সম্পূর্ণ প্রোটিনের উৎস বলা হয়, কারণ এতে রয়েছে নয়টি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড—যা শরীরে পেশি গঠন ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। জার্নাল অব পোল্ট্রি সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ডিম খেলে তা পেশি ভর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, বিশেষ করে ব্যায়ামের সঙ্গে একত্রে গ্রহণ করলে ফলাফল আরও ভালো হয়।

২০২১ সালের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন শরীরে দ্রুত হজম হয় এবং ব্যায়ামের পর ক্লান্তি দূর করে শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

২. হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে

কোলেস্টেরলের কারণে একসময় ডিমকে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত করা হলেও, সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে ভিন্ন কথা। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে ডিম খেলে শরীরে এইচডিএল বা ‘ভালো কোলেস্টেরল’ বাড়ে এবং এলডিএল কণার ভারসাম্য উন্নত হয়।

এছাড়া, ডিমে থাকা কোলাইন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম নিরাপদ ও উপকারী।

৩. মস্তিষ্ক ও চোখের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

ডিম কোলাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কোলাইন হলো এমন একটি পুষ্টি উপাদান, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। ২০২৩ সালের এক গবেষণা অনুসারে, কোলাইন নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়তা করে, যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় ও মনোযোগী রাখে।

এছাড়া, ডিমের কুসুমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন ও জেক্সানথিন চোখের জন্য উপকারী। এগুলো নীল আলোর ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমায়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

ওজন কমাতে বা বজায় রাখতে ডিমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এতে থাকা প্রোটিন দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তায় ডিম খান তারা দিনের বাকি সময় তুলনামূলকভাবে কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় থাকে।

৫. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে

ডিমে রয়েছে বায়োটিন, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক ও অ্যামাইনো অ্যাসিড—যেগুলো ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়োটিন চুলকে মজবুত করে, চুল ভাঙা কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

এছাড়া, ডিমের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বককে মসৃণ, উজ্জ্বল ও স্থিতিস্থাপক করে তোলে।

যদিও ডিম পুষ্টিকর, অতিরিক্ত গ্রহণ সবসময় উপকারী নয়। উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদ্‌রোগে ভোগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। পরিমিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবেই ডিম গ্রহণ করা সবচেয়ে কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com