1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে অসন্তোষ বিএনপির, সাংবিধানিক ভিত্তিতে আলোচনার আহ্বান

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ বার দেখা হয়েছে

রাজনীতি ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের কার্যক্রম সমাপ্ত করতে কিছু সুপারিশ দিয়ে দায়মুক্তির পথ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ যেন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং সাংবিধানিক ভিত্তি বজায় রেখে যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেন— বিএনপি সে প্রত্যাশা করে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের কাজের সমালোচনা করতে চাই। কারণ, তারা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও এ বিষয়টি আলোচিত হয়নি, কোনো ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। হঠাৎ করে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আরোপ করা সঠিক নয়।”

বিএনপি নেতা জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে তাদের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, “কমিশনকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে তারা অবশেষে তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছেন। তবে, তারা জাতীয় ঐকমত্যের পরিবর্তে অনৈক্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। তাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে এমন কিছু আদেশ যুক্ত করা হয়েছে যা ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর বহির্ভূত।”

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ প্রায় ৮৪টি দফা রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন দলের মতবিরোধ স্পষ্টভাবে “নোট অব ডিসেন্ট” হিসেবে উল্লেখ আছে। এসব নোট অব ডিসেন্ট ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে জনমত পেলে বাস্তবায়ন করতে পারবে।

তিনি বলেন, “বিস্ময়করভাবে সুপারিশমালার সংযুক্তিতে এসব নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। এমনকি গণভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন দুটি বিকল্প রেখেছে— আগে বা পরে করা যেতে পারে, সেটি সরকারের বিবেচনার ওপর নির্ভর করবে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো নতুন আলোচনা হয়নি।”

বিএনপি নেতা আরও জানান, সংবিধান সংস্কার নামে একটি নতুন ধারণা সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী আলোচনায় ছিল না। তিনি বলেন, “যেহেতু এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, তাই এটি কমিশনের আলোচনার বাইরে থাকা সত্ত্বেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে; কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই তা আরোপ করার।”

উচ্চকক্ষ গঠন পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুপারিশে বলা হয়েছে উচ্চকক্ষ নিম্নকক্ষের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে গঠিত হবে, কিন্তু এ বিষয়ে সকলের ঐকমত্য হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে গঠন হোক।”

তিনি আরও বলেন, “উচ্চকক্ষের এখতিয়ার প্রসঙ্গে সুপারিশে উল্লেখ আছে যে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে উচ্চকক্ষে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমাদের মতে, যেহেতু উচ্চকক্ষ সরাসরি নির্বাচিত নয়, তাই সংবিধান সংশোধনীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনার এখতিয়ার তাদের নেই। জনগণের সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা অন্য কারও নেই।”

“অটোমেটিক সংযুক্তি” প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংস্কার প্রস্তাব ২৭০ দিনের মধ্যে গৃহীত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে— এমন প্রস্তাব অত্যন্ত অযৌক্তিক। সংবিধানের কোনো সংশোধনী ‘অটো পাস’ হতে পারে না; সংসদে অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই তা আইন হয়।”

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছি, সেটি ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আওতায় জনগণের সার্বভৌম সম্মতির প্রতিফলন। সেক্ষেত্রে জনগণের অনুমোদন পেলে সংসদ সদস্যরা সেটি বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবেন। তবে সংযুক্তির আর্টিকেলগুলোতে কোথাও গণভোটের প্রয়োজন উল্লেখ আছে, আবার কোথাও বলা হয়নি— এতে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে।”

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে না— এমন মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক দল বা নির্বাচন কমিশন করেনি। নির্বাচন অবশ্যই হবে, আইনানুগ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তা অনুষ্ঠিত হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে।”

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com