রাজনীতি ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আরপিও (নির্বাচন সম্পর্কিত প্রস্তুতি নির্দেশিকা) পুনরায় সংশোধনের সিদ্ধান্তকে সরকারের পক্ষ থেকে এক দলের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ হিসেবে মন্তব্য করেছে। শনিবার দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পাঠানো ভিডিও বার্তায় এ অবস্থান ব্যক্ত করেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত আরপিওকে পুনরায় সংশোধন করা মূলত এক দলের অন্যায়-অযৌক্তিক দাবির কাছে নতিস্বীকারের সমতুল্য। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অতীত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করা গেছে। তিনি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মার্কা ব্যবহারের বিষয়ে সরকারী পুনর্বিবেচনাকে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, দল এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে না এবং নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং উপদেষ্টা পরিষদে পূর্বে গৃহীত প্রতিটি দলের নিজস্ব প্রতীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা একমত এবং জাতিও একমত। জামায়াত পূর্বে গৃহীত সেই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে এবং অন্যথায় রাজপথে প্রতিবাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বিএনপির কার্যক্রমের কারণে সনদ বাস্তবায়নে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যদি প্রধান উপদেষ্টা কোনো পক্ষের দাবিতে নতিস্বীকার করেন, তাহলে এটি সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান, সংস্কার-রিফর্ম ছিল তার নিজস্ব উদ্যোগ, এবং তিনি তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবেন। নীতিনিষ্ঠভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হলে, জাতি এটি সরকারের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ হিসেবে মনে করবে। ডা. তাহের বলেন, সরকারকে নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে এবং রাজনৈতিক চাপে নতিস্বীকার করা যাবে না।
জামায়াতে ইসলামী এ অবস্থান থেকে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত না হলে রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দল নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্তের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে।