রাজনীতি ডেস্ক
বরগুনার বামনা উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহসভাপতি সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাজা আহসান মামুন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে বামনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান দিনারও একই দলে যোগ দেন।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে বামনা উপজেলার সৈয়দ রহমত আলী স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। এ সময় বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হারুন এবং বরগুনা-২ আসনের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ডা. সুলতান আহমেদ ফুল দিয়ে নবাগত দুই নেতাকে বরণ করে নেন।
জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে সৈয়দ মানজুরুর রব বলেন, ১৯৮৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি বামনায় আসেন। এরপর জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ১৯৯৭ সালে দলটি থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০০২ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। পরে ২০১৪ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন।
তিনি জানান, বহিষ্কারের পর দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে তিনি দলের বাইরে রয়েছেন। এই সময়ে নয়বার পুনর্বহালের আবেদন করলেও তা গৃহীত হয়নি। “বহুবার আবেদন করেও ফল না পেয়ে আমি বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি,”—বলেন তিনি।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস. এম. হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ রানা জানান, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে সৈয়দ মানজুরুর রবকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা বলেন, “তিনি একাধিকবার দলে ফেরার আবেদন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে পুনর্বহাল করা হয়নি।”
বামনা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আমির মাওলানা সাইদুর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মানসুর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আবু জাফর মো. সালেহ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামীম আহসান এবং গাজীপুর জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো. আব্দুল জলিল আকন্দ।
সভায় বক্তারা নবাগত দুই নেতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা জামায়াতে ইসলামীকে আরও শক্তিশালী করবে।