রাজনীতি ডেস্ক
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের পরও বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন করা যায়নি। তিনি বলেন, দমন-নিপীড়নের মধ্য দিয়েও দলটি টিকে আছে এবং জনগণের সমর্থন অটুট রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক অনন্য ব্যক্তি, যিনি দু’বার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি শত্রুর বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা রক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর দেশপ্রেম ও নেতৃত্বগুণ বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে বলেছিল বিএনপির আর অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু তাঁর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, জনগণ তাঁকে হৃদয়ে ধারণ করেছিল। তিনি চক্রান্তের মাধ্যমে নয়, জনগণ ও সিপাহিদের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছিলেন।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেন। তিনি জনশক্তি রপ্তানি ও গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাতে পরিণত হয়। তাঁর উদ্যোগেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।
খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, মামলা-হামলার শিকার করা হয়েছে, তবুও বিএনপি হারিয়ে যায়নি। বিএনপি আজও টিকে আছে, কারণ জনগণের ভালোবাসাই আমাদের শক্তি।”
তিনি বলেন, “বিএনপিকে ফিনিক্স পাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়, কারণ দলটি বারবার দমন-পীড়নের মুখে পড়েও পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পরও বিএনপি তার রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।”
সম্প্রতি দলীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই পরবর্তী সময়ে আমাদের মধ্যে কিছু বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আমি আশা করি এই বিভক্তি কেটে যাবে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দিনশেষে জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরাও সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে চাই।”
আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক সহনশীলতা পুনরুদ্ধারে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক ভূমিকার আহ্বান জানান।