রাজনীতি ডেস্ক
ঢাকা: দেশে নারীর কর্মসংস্থান, অধিকার ও সংসদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ধর্মের নামে রাজনীতি করে নারীদের অধিকার সীমিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সমাজে বৈষম্য ও সহিংসতা বাড়াতে পারে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীতে নারীর উপর সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশে একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে রাজনীতি করছে, অথচ তাদের হাতেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। তারা নারীদের কর্মঘণ্টা কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছে, যা নারীদের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণের পথে বাধা সৃষ্টি করবে।” তিনি দাবি করেন, “যারা এমন কথা বলছে, তাদের উদ্দেশ্য হলো নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে দেওয়া।”
তিনি বলেন, বিএনপি “জুলাই সনদ”-এর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এতে স্বাক্ষরিত শর্তগুলো বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, এই সনদের বাইরে কোনো নতুন প্রস্তাব বা শর্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা জনগণ নিজেই মূল্যায়ন করবে।
আইন প্রণয়ন ও সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া সংসদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “কোনো আইন বা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে সংসদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কোনো আরোপিত বিষয় থাকতে পারে না যা সংসদের কর্তৃত্বকে খর্ব করে।”
তিনি আরও বলেন, “গণভোটের মাধ্যমে এককভাবে আইন প্রণয়ন বা সংবিধান সংশোধনের পথ সঠিক নয়; এসব বিষয়ে সংসদই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে।”
সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি নেতারা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নারীর সামাজিক অবস্থান উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জোরদারের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক সমাজ গঠনে নারীর ভূমিকা অপরিহার্য, এবং তাদের সুযোগ সীমিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা জাতীয় উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।