রাজনীতি ডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান আলেম ও উলামাদের প্রতি অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এ বিষয়টি উল্লেখ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান তার পোস্টে বলেন, যারা সত্যিই জামায়াতে ইসলামীকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য স্পষ্ট বার্তা হলো—কোনো বিজ্ঞ আলেম-ওলামাকে নিয়ে কোনো অশোভন মন্তব্য করবেন না। তিনি আরও সতর্ক করে উল্লেখ করেন, যদি কেউ এ ধরনের মন্তব্য করেন, তবে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি আসলেই জামায়াতে ইসলামীকে ভালোবাসেন না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আন্দোলনে নেতারা সামাজিক সংযম বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করলে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে সহমর্মিতা ও নৈতিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আলেম ও উলামাদের সম্মান রক্ষা করা সাংগঠনিক ঐক্য ও জনসাধারণের কাছে আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন ধরে নজর কাড়ছে। দলের নেতারা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়ভাবে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করছেন, যা সদস্য ও অনুসারীদের জন্য নির্দেশমূলক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি সংযম ও সম্মান প্রদর্শন দলের নৈতিক মান বজায় রাখার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের কারণে ব্যক্তিগত মন্তব্যও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের পক্ষ থেকে সংযম ও সতর্কতার আহ্বান কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। ডা. শফিকুর রহমানের এই আহ্বানও দলের সদস্য ও সমর্থকদের মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ধরনের সতর্কবার্তা প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করলে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও জনমতের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী প্রেক্ষাপটে, আলেম ও উলামাদের সম্মান রক্ষা করা দলের ভাবমূর্তি ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপে বিবেচিত হচ্ছে।