নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুট করা টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগ ককটেল কিনে নাশকতা চালাচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেলের নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে বর্তমানে নাশকতার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যারা অপরাধ করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে, তারাই এখন লজ্জাহীনভাবে বাসে আগুন দিচ্ছে। এসব ঘটনা কেবল সরকারের অপকর্মের প্রমাণ নয়, বরং দেশের জনগণের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা একটি শান্তিময় বাংলাদেশ চাই, যেখানে সবাই স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে এবং নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ইনক্লুসিভ।”
রিজভী শেখ হাসিনার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “যদি শেখ হাসিনার অপরাধের শাস্তি যথাযথভাবে কার্যকর হয়, তবে সেটি দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।” তিনি অভিযোগ করেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের কাছে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তার মতে, “এখনও বিচার ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস রয়েছে এবং তারা ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করছে।”
বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, “ফ্যাসিবাদের আমলে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, সেই সময়ের কিছু নির্মম হত্যাকাণ্ড এখনো জনগণের মনে তাজা।” তিনি উদাহরণ হিসেবে আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং ওয়াসিম আকরাম হত্যার কথা তুলে ধরেন, যেগুলো তিনি “নির্মমভাবে হত্যা” হিসেবে উল্লেখ করেন।
ভারতের ভূমিকাও তার সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু ছিল। রিজভী বলেন, “ভারতে বসে শেখ হাসিনার নির্দেশনা আইনসম্মত নয়, এবং ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাশকতার সুযোগ দিয়ে আইন লঙ্ঘন করছে। বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের আচরণ গ্রহণ করছে না, এবং এটি তাদের পক্ষে কাম্য নয়।”
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি এবছর কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছে। রিজভী জানান, “যদি কেউ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের চিন্তা করেন, তবে সেই অর্থ দান করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।