নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি এ রায়কে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষা, যাতে কোনো সরকার বা ব্যক্তি ফ্যাসিস্ট ও একনায়ক হয়ে উঠতে না পারে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর, একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি আরও বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ফ্যাসিবাদ যত শক্তিশালী হোক, একদিন তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়, তবে এটি সামনের দিনের জন্য একটি উদাহরণ। যারা ফ্যাসিস্ট এবং একনায়ক শাসন কায়েম করতে চায়, তাদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা।” তিনি আরও বলেন, “এ রায়ের মাধ্যমে আমরা দেখলাম যে, যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনা সম্ভব, এবং একদিন তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই রায়ের পর ভবিষ্যতে গুম, খুন এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে এবং সেগুলোর বিচারও হবে। শেখ হাসিনার শাসনামলে যে বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে মানুষ এখন সচেতন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই রায়টি শুধু অতীতের অপরাধের বিচার নয়, বরং ভবিষ্যতে যাতে কোনো শাসক একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সে জন্য একটি শিক্ষামূলক উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
বিএনপি নেতা এই রায়ের প্রতি তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, “এই রায় শুধু বিচারের প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবেও কাজ করবে, যা নিশ্চিত করবে যে ভবিষ্যতে আর কোনো শাসক ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে সক্ষম হবে না।”
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও যোগ করেন, “যতদিন না সমস্ত অপরাধের বিচার হচ্ছে, ততদিন আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”