রাজনীতি ডেস্ক
ঢাকা, বুধবার (১৯ নভেম্বর) – জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের পাশে থেকে তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার জন্য। সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সংবিধান ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, এবং তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন, সংবিধানের সংস্কার, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করি, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল তা সেভাবে ধারণ করতে পারবে না।”
সভায় তিনি বর্তমান ভোটারদের বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, দেশের ভোটারের প্রায় ৪০ ভাগই ৩০ বছরের কম বয়সের। এই তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর প্রধান মাধ্যম হিসেবে তিনি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে গুরুত্বারোপ করেন। শামা ওবায়েদ বলেন, যদি দলটি এই নতুন প্রজন্মের পাশে থাকতে পারে, তবে তা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সবসময় স্বকীয়তা এবং স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগঠন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে, যা দেশের স্বাধিকার ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে দলকে সক্রিয় রেখেছে। তিনি যোগ করেন, জাতীয় ইস্যুতে দলের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট ও দৃঢ়; কখনো আপোষ করা হয়নি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই উপলব্ধি তাদের নিজ থেকেই আসতে হবে এবং জনগণের পাশে থেকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ওবায়দূর রহমান অটল। সভায় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতের কর্মকৌশল ও স্থানীয় পর্যায়ে কার্যক্রম প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের এই উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত তরুণ ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণকে কেন্দ্র করে দলের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় স্তরের সংগঠন শক্তিশালীকরণ দেশের রাজনৈতিক সচেতনতাকে বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।