1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

গণভোট আইন শিগগির কার্যকর করার উদ্যোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীতে এক ব্রিফিংয়ে আগামী তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে তিনি গণভোট আইন প্রণয়নের অগ্রগতি এবং সাম্প্রতিক বিচারিক সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে বক্তব্য দেন।

ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, সরকার গণভোট আইন চূড়ান্ত করার কাজে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই এটি প্রণয়ন করে কার্যকর করা হবে। তার মতে, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যে সমাপ্তির পথে এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই আইন কার্যকর হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আইনটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

আইন প্রণয়ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ড. আসিফ নজরুল সাম্প্রতিক একটি উচ্চ আদালতের রায়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের যে রায় দেওয়া হয়েছিল, উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে তা পুনর্বিবেচিত হয়েছে। ওই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বৈধতা প্রশ্নে নতুন আইনি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন পরিচালনা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নতুন রায়ের ফলে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সাংবিধানিক পথ পরিষ্কার হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসদ বিলুপ্ত থাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নবগঠিত সংসদ মেয়াদ শেষে ভেঙে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অতীতে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োগ হয়েছিল এবং সে সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। সাম্প্রতিক আদালতের সিদ্ধান্ত এ ব্যবস্থার পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বাস্তবতার সৃষ্টি করেছে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, গণভোট আইন প্রণয়ন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও সুসংহত করবে এবং জনগণের প্রত্যক্ষ মতামত নেওয়ার সাংবিধানিক পথ প্রশস্ত করবে। তার মতে, গণভোট আইন চালু হলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠানগত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যা নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে। এ ধরনের আইন চালু হলে সংবিধান সংশোধন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ বা রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনের মতো বিষয়ে জনগণের মতামত গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে পারে।

গণভোট আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এটি ভবিষ্যতে আইনসভা ও নির্বাহী শাখার কাজের পরিধিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণভোট ব্যবস্থার কার্যকর প্রয়োগে সুসংহত বিধান, স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো এবং শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সংস্থার সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, গণভোট আইন প্রণয়ন এবং উচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায় দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে নতুনভাবে কাঠামোবদ্ধ করতে পারে। এসব পদক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং ভবিষ্যৎ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় নতুন বাস্তবতা তৈরি করবে। তিনি বলেন, আইন এবং বিচারিক সিদ্ধান্তের ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তী সময় ও পরবর্তী সংসদের মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরের পদ্ধতি আরও স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, নতুন আইন ও আদালতের নির্দেশনার আলোকে ভবিষ্যতে নির্বাচনী পরিবেশ আরও সুগঠিত হবে, আর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সাংবিধানিকভাবে পূর্বনির্ধারিত কাঠামোর মধ্যেই সম্পন্ন হবে। নতুন আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে বলে নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com