জাতীয় ডেস্ক
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫ দশমিক ৭। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফারজানা সুলতানা জানান, ভূমিকম্পের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কম্পন অনুভূত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ভূমিকম্পের পর ছোটখাটো আফটার শকের সম্ভাবনা থাকে, তবে বর্তমানে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা যায়নি। সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে বলা যায়, চলতি বছরের ৫ মার্চও রাজধানী ঢাকায় ৫.৬ মাত্রার মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সেসময়েও কম্পন দেশের বিভিন্ন অংশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার আগে, ২৮ মে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের নিকটে একটি ভূমিকম্পের ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, রাজধানী ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় হালকা কম্পন অনুভূত হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া অত্যন্ত জটিল, তবে এই ধরনের মাঝারি মাত্রার কম্পন সাধারণত ছোট আকারের আফটার শক ছাড়া বেশি ক্ষতি করে না। দেশব্যাপী ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকায় সতর্কতা এবং জরুরি প্রস্তুতির গুরুত্বের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের প্রভাব, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ আফটার শকের সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক ও আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান, উচ্চ ভবন এড়ানো এবং স্থিতিশীল স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তীতে, ভূমিকম্পের পরবর্তী পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নজরদারি করছে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশের ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্ব বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে।