1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, বাসা মালিকদের নোটিশ প্রদান

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে লার্ভা ধ্বংস, ফগিং, লার্ভিসাইডিং, নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, সচেতনতামূলক প্রচারণা ও নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সকালে পরিচালিত অভিযানে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডার একতা সোসাইটি এলাকায় ডিএনসিসির কর্মীরা হুইল ব্যারো ও স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে লার্ভা ধ্বংসের কাজ সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণে নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, ফগিং কার্যক্রম, স্টিকার সংযুক্তি এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের এডিস মশার জন্মস্থান সম্পর্কে সচেতন করতে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর ও বহুতল স্থাপনায় মশার লার্ভা শনাক্ত হলে প্রথম পর্যায়ে সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত নোটিশ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে প্রদান করা হচ্ছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্ষা ও শুষ্ক—দুই মৌসুমেই এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়; ফলে শহরজুড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং মশা নিধনকে কার্যকর রাখতে ডিএনসিসি নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আবাসিক ভবন, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অব্যবহৃত পাত্র, প্লাস্টিক ড্রাম, বালতি, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, কমোড, ডাবের খোসা কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনার চৌবাচ্চা প্রভৃতি জায়গায় জমে থাকা পানি এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া ওয়াসার ওয়াটার মিটার, ছাদ বাগান, লিফটের গর্ত, বেজমেন্ট এলাকা, জলাশয়ের কচুরিপানা ও স্থির পানিতে আবর্জনা—এসব স্থানগুলোর পানি অপসারণে অবহেলা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

ডিএনসিসি মনে করে, মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার পক্ষে সম্পূর্ণভাবে করা সম্ভব নয়। নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এডিস মশার প্রজনন প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই প্রতিটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার দায়িত্বশীলদের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব স্থানে পানি জমে থাকতে পারে সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

নোটিশে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এবং আশপাশের জলাশয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত ও ধ্বংস করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্বশীলরা এ নির্দেশনা পালন না করলে জনস্বার্থে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫ম তফসিলের ২৭, ৩০, ৩১ এবং ৩৪ ধারার আওতায় মামলা বা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমগুলো বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের মাধ্যমে লার্ভা শনাক্ত, উৎস ধ্বংস এবং নাগরিকদের সচেতন করতে সরাসরি পরামর্শ প্রদান করছে। ভবিষ্যতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে নগরবাসীকে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট করে ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন, বহুতল ভবনের ছাদ, আঙিনা ও অযত্নে পড়ে থাকা সামান্য পানিও এডিস মশার প্রজননের জন্য যথেষ্ট। সেজন্য নগরবাসীর সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানকে সমন্বিতভাবে কার্যকর করা না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

ডিএনসিসির এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে। সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ওয়ার্ডে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। নগরবাসীর সহায়তা, নিয়মিত নজরদারি এবং আইনগত পদক্ষেপের সমন্বয়ে ডেঙ্গুর বিস্তার প্রতিরোধে কার্যকর অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, বাসা মালিকদের নোটিশ প্রদান

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে লার্ভা ধ্বংস, ফগিং, লার্ভিসাইডিং, নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, সচেতনতামূলক প্রচারণা ও নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সকালে পরিচালিত অভিযানে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডার একতা সোসাইটি এলাকায় ডিএনসিসির কর্মীরা হুইল ব্যারো ও স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে লার্ভা ধ্বংসের কাজ সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণে নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, ফগিং কার্যক্রম, স্টিকার সংযুক্তি এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের এডিস মশার জন্মস্থান সম্পর্কে সচেতন করতে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর ও বহুতল স্থাপনায় মশার লার্ভা শনাক্ত হলে প্রথম পর্যায়ে সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত নোটিশ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে প্রদান করা হচ্ছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্ষা ও শুষ্ক—দুই মৌসুমেই এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়; ফলে শহরজুড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং মশা নিধনকে কার্যকর রাখতে ডিএনসিসি নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আবাসিক ভবন, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অব্যবহৃত পাত্র, প্লাস্টিক ড্রাম, বালতি, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, কমোড, ডাবের খোসা কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনার চৌবাচ্চা প্রভৃতি জায়গায় জমে থাকা পানি এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া ওয়াসার ওয়াটার মিটার, ছাদ বাগান, লিফটের গর্ত, বেজমেন্ট এলাকা, জলাশয়ের কচুরিপানা ও স্থির পানিতে আবর্জনা—এসব স্থানগুলোর পানি অপসারণে অবহেলা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

ডিএনসিসি মনে করে, মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার পক্ষে সম্পূর্ণভাবে করা সম্ভব নয়। নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এডিস মশার প্রজনন প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই প্রতিটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার দায়িত্বশীলদের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব স্থানে পানি জমে থাকতে পারে সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

নোটিশে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এবং আশপাশের জলাশয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত ও ধ্বংস করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্বশীলরা এ নির্দেশনা পালন না করলে জনস্বার্থে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫ম তফসিলের ২৭, ৩০, ৩১ এবং ৩৪ ধারার আওতায় মামলা বা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমগুলো বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের মাধ্যমে লার্ভা শনাক্ত, উৎস ধ্বংস এবং নাগরিকদের সচেতন করতে সরাসরি পরামর্শ প্রদান করছে। ভবিষ্যতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে নগরবাসীকে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট করে ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগর এলাকায় নির্মাণাধীনডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, বাসা মালিকদের নোটিশ প্রদান

জাতীয় ডেস্ক

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকে সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে লার্ভা ধ্বংস, ফগিং, লার্ভিসাইডিং, নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, সচেতনতামূলক প্রচারণা ও নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সকালে পরিচালিত অভিযানে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডার একতা সোসাইটি এলাকায় ডিএনসিসির কর্মীরা হুইল ব্যারো ও স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে লার্ভা ধ্বংসের কাজ সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণে নোভালুরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, ফগিং কার্যক্রম, স্টিকার সংযুক্তি এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের এডিস মশার জন্মস্থান সম্পর্কে সচেতন করতে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর ও বহুতল স্থাপনায় মশার লার্ভা শনাক্ত হলে প্রথম পর্যায়ে সতর্কতা নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত নোটিশ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে প্রদান করা হচ্ছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্ষা ও শুষ্ক—দুই মৌসুমেই এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়; ফলে শহরজুড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং মশা নিধনকে কার্যকর রাখতে ডিএনসিসি নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আবাসিক ভবন, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা অব্যবহৃত পাত্র, প্লাস্টিক ড্রাম, বালতি, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, কমোড, ডাবের খোসা কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনার চৌবাচ্চা প্রভৃতি জায়গায় জমে থাকা পানি এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া ওয়াসার ওয়াটার মিটার, ছাদ বাগান, লিফটের গর্ত, বেজমেন্ট এলাকা, জলাশয়ের কচুরিপানা ও স্থির পানিতে আবর্জনা—এসব স্থানগুলোর পানি অপসারণে অবহেলা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

ডিএনসিসি মনে করে, মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার পক্ষে সম্পূর্ণভাবে করা সম্ভব নয়। নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এডিস মশার প্রজনন প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই প্রতিটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার দায়িত্বশীলদের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব স্থানে পানি জমে থাকতে পারে সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

নোটিশে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এবং আশপাশের জলাশয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত ও ধ্বংস করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্বশীলরা এ নির্দেশনা পালন না করলে জনস্বার্থে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫ম তফসিলের ২৭, ৩০, ৩১ এবং ৩৪ ধারার আওতায় মামলা বা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমগুলো বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের মাধ্যমে লার্ভা শনাক্ত, উৎস ধ্বংস এবং নাগরিকদের সচেতন করতে সরাসরি পরামর্শ প্রদান করছে। ভবিষ্যতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে নগরবাসীকে প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট করে ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগর এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন, বহুতল ভবনের ছাদ, আঙিনা ও অযত্নে পড়ে থাকা সামান্য পানিও এডিস মশার প্রজননের জন্য যথেষ্ট। সেজন্য নগরবাসীর সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানকে সমন্বিতভাবে কার্যকর করা না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

ডিএনসিসির এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে। সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ওয়ার্ডে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। নগরবাসীর সহায়তা, নিয়মিত নজরদারি এবং আইনগত পদক্ষেপের সমন্বয়ে ডেঙ্গুর বিস্তার প্রতিরোধে কার্যকর অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।
ভবন, বহুতল ভবনের ছাদ, আঙিনা ও অযত্নে পড়ে থাকা সামান্য পানিও এডিস মশার প্রজননের জন্য যথেষ্ট। সেজন্য নগরবাসীর সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানকে সমন্বিতভাবে কার্যকর করা না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

ডিএনসিসির এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে। সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ওয়ার্ডে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। নগরবাসীর সহায়তা, নিয়মিত নজরদারি এবং আইনগত পদক্ষেপের সমন্বয়ে ডেঙ্গুর বিস্তার প্রতিরোধে কার্যকর অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com