1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
অতীত সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল :সালাহউদ্দিন আহমদ সেতুর নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা, পণ্ড হলো আয়োজন ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৯১৬ জনের মৃত্যু, ২৭৪ জন নিখোঁজ গোয়ার বাগা বিচে নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু, তদন্ত শুরু সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় লাহোর শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান তৃতীয় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত জুলাই–আগস্ট আন্দোলন: কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ আট অভিযোগে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ই-পারিবারিক আদালত বিচারপ্রক্রিয়ায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারের মেয়াদ অল্পদিন থাকলেও এই সময়ের মধ্যে বিচারব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। সোমবার সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকারের হাতে আরও দুই থেকে আড়াই মাস সময় রয়েছে, এবং এই সময়ে জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি কার্যকর ও আধুনিক বিচারসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন যে ই-পারিবারিক আদালতের সূচনা বিচারপ্রক্রিয়াকে কাগজবিহীন ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নেওয়ার একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি জানান, বিশেষ করে নারী ও শিশু—যারা পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতনের শিকার হয়ে ন্যায়বিচার পেতে নানা দুর্ভোগের সম্মুখীন হন—তাদের জন্য এই আদালত নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মামলা দায়ের, শুনানি ও নথি ব্যবস্থাপনা সহজ হওয়ায় ভুক্তভোগীরা আরও দ্রুত ও সহজভাবে সেবা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়ায় অনলাইন ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহারকারীরা তা অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয়। ই-পারিবারিক আদালত কার্যকরভাবে পরিচালিত করতে হলে সার্ভার ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো শক্তিশালী থাকা অত্যন্ত জরুরি। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, সার্ভার ডাউন বা প্রযুক্তিগত ত্রুটি বিচারপ্রার্থীকে বড় ধরনের বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়লেও এর বাস্তবায়নে বহু বাধা রয়ে গেছে। ইটভাটা অপসারণ বা বন্ধ করার মতো পরিবেশ সংরক্ষণমূলক উদ্যোগ গ্রহণে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, তা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে ধীর করে দেয়। তার মতে, যে কোনো সংস্কার উদ্যোগে মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারব্যবস্থাকে আধুনিক করতে প্রণীত পরিকল্পনাগুলো তখনই বাস্তব রূপ পাবে, যখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধন দেশে ডিজিটাল বিচারসেবা বিস্তারের ধারাবাহিকতার অংশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ ইতোমধ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে চালু হয়েছে। পারিবারিক আদালতসমূহে প্রযুক্তির ব্যবহার নারীদের সুরক্ষা, শিশুর অধিকার রক্ষা এবং পারিবারিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করলে সময়, কর্মঘণ্টা ও আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

এ ছাড়া গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকার ভুক্তভোগীরা আদালতে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন। এতে বিচারপ্রাপ্তির সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আদালতগুলোর ওপর চাপ কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুবিষয়ক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ, আবেদন দাখিল, নথি ব্যবস্থাপনা ও পরবর্তী কার্যক্রম একীভূত ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরিচালিত হলে মামলার অগ্রগতি সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের বর্তমান মেয়াদে বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো একটি অগ্রাধিকারমূলক লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ই-পারিবারিক আদালত বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তিনির্ভর বিচারপ্রক্রিয়া সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মত দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ই-পারিবারিক আদালত চালুর ফলে বিচার বিভাগের ডিজিটাল রূপান্তর আরও এগিয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক, কর্মচারী ও আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পারিবারিক আদালতেও এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ উদ্যোগ সফল হলে নারী ও শিশু অধিকারের সুরক্ষা জোরদার হবে এবং মামলার জট কমাতে তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে দপ্তর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ই-পারিবারিক আদালত শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, বরং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে জনগণের কাছে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করে তুলবে—এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com