জাতীয় ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আগামী ২৯ নভেম্বর (শনিবার) মক ভোটিং আয়োজন করেছে। এ সংক্রান্ত তথ্য মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য) মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানিয়েছেন।
মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল ধরনের ভোটারদের নিয়ে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভোটারদের ভোট প্রদান প্রক্রিয়া, ভোট কেন্দ্রের কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি যাচাই করা হবে।
মক ভোটিংয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে সাংবাদিকরা সরাসরি ভোট প্রদান প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং ভোটারদের জন্য প্রদত্ত সুবিধা ও ভোটার সেবা ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
ইভেন্টে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রস্তুতি, ইলেকশন মেশিন ও অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জামের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে।
নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনের আগে মক ভোটিং আয়োজন করে থাকে। এর মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য জটিলতা চিহ্নিত করা, ভোটারদের সুবিধাজনকভাবে ভোট প্রদান নিশ্চিত করা এবং ভোট প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ধরনের পরীক্ষামূলক ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
পূর্ববর্তী নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মক ভোটিং আয়োজন ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মীদের প্রস্তুতি যাচাই, এবং নির্বাচনী সরঞ্জামের কার্যকারিতা পরীক্ষার মাধ্যমে কমিশন নির্বাচনকে আরো নিরাপদ ও নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করে।
মক ভোটিং সফলভাবে সম্পন্ন হলে কমিশন তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে। এছাড়া, ভোটার ও কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মক ভোটিং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি সাধারণ ভোটারদের জন্য ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ ও নির্ভরযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।