1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

বাংলাদেশ নৌপরিবহন সেক্টরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও অগ্রগতি তুলে ধরল লন্ডনের আইএমও অধিবেশন

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

লন্ডন, সোমবার: আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা (আইএমও)-এর ৩৪তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও বৈশ্বিক অবদান তুলে ধরেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বিশ্বের ১৭৬টি সদস্য দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনের প্রধান এজেন্ডা ছিল আগামী দুই বছরের জন্য ৪০ সদস্যের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনের কার্যক্রম, যেখানে বাংলাদেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে ২০২৬-২৭ মেয়াদের আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশের প্রার্থিতার বিষয়টি উল্লেখ করে ১৭৫টি সদস্য দেশের প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দেশের শিপ রিসাইক্লিং, শিপ বিল্ডিং এবং নৌবাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্য এবং বিশ্বমানের নৌ প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি তুলে ধরেন। এছাড়া দ্বীপ রাষ্ট্রসহ স্বল্পোন্নত দেশের নাবিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ প্রতিবছর ১০টি বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্রনির্ভর জাতি এবং দেশের পরিচয় ও ভবিষ্যৎ গভীরভাবে সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত। গত এক দশকে উপকূলীয় অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান মেরিটাইম জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে আধুনিকায়ন, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন নৌপরিবহন খাতের পথনির্দেশ করছে। তিনি বাংলাদেশের প্রধান তিন সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা—এর দ্রুত ডিজিটালাইজেশন ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষভাবে তিনি নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উল্লেখ করে জানান, এটি দক্ষিণ এশিয়াকে বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশের ২১ হাজারের বেশি নাবিক বিভিন্ন দেশের নৌবহরে দক্ষতা, শৃঙ্খলা এবং নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। তারা শুধুমাত্র কর্মী নয়; সমুদ্রপথে দেশের দূত হিসেবেও কাজ করছেন। আইএমও-র সঙ্গে দীর্ঘ ও গঠনমূলক অংশীদারিত্বের কথাও তিনি উল্লেখ করেন এবং বলেন, বাংলাদেশ আইএমও-এর বিভিন্ন কমিটিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সুশৃঙ্খল বৈশ্বিক সামুদ্রিক বিধিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

উপদেষ্টা বাংলাদেশের নৌখাতের উন্নয়নে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ দর্শন ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং ব্লু ইকোনমি রোডম্যাপকে উল্লেখযোগ্য ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আইএমও কনভেনশন-এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করছে, বন্দর অবকাঠামো আধুনিক করছে, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে এবং মারপোল-কমপ্লেইন পোর্ট রিসিপিশন ফ্যাসিলিটি সম্প্রসারণ করছে।

আইএমও কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল সামুদ্রিক দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তি ও অর্থায়নে ন্যায্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে, নাবিক ও মেরিটাইম সেক্টরে পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, জলবায়ু-সহনশীলতা ও লো-কার্বন শিপিং সমর্থন করবে। পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক আইএমও গঠনেও নেতৃত্ব দেবে।

অধিবেশন চলাকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টা পাকিস্তানের মেরিটাইম বিষয়ক মন্ত্রী ও বেলিজের জনসেবা, জ্বালানি ও লজিস্টিকস মন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে চট্টগ্রাম ও করাচি বন্দরের মধ্যে নৌবাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়। বেলিজের মন্ত্রী মিশেল চেবাটের সঙ্গে বৈঠকে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, নৌবাণিজ্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়।

উপদেষ্টা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলসহ ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রের মেরিন ক্যাডেটদের জন্য চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে উন্মুক্ত বৃত্তির সুযোগের কথাও তুলে ধরেন। অধিবেশন জুড়ে বাংলাদেশ তার প্রার্থিতা এবং বৈশ্বিক নৌপরিবহন খাতে ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরে সফল প্রচার চালায়। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ শফিউল বারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com