1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

প্রিয়জনকে ভুলতে বাস্তবসম্মত মনস্তাত্ত্বিক কৌশল

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

 

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

অনেক সময় আমাদের জীবনে এমন মানুষ বা ঘটনা আসে, যা আমরা ভুলতে চাইলেও মস্তিষ্ক থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। মস্তিষ্ক স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখে, তবে স্মৃতির প্রভাব কমানো, মনোযোগ অন্যদিকে সরানো এবং আবেগের তীব্রতা হ্রাস করা সম্ভব। মনোবিজ্ঞানের আলোকে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করে প্রিয়জন বা কোনো ঘটনার স্মৃতি ধীরে ধীরে হ্রাস করা যায়।

প্রথম ধাপ হিসেবে, স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। পুরনো ছবি, উপহার বা অন্যান্য স্মৃতিস্মরণীয় বস্তু যা পুরনো দিনের কথা মনে করায়, তা আলাদা করে রাখা উচিত। এর পাশাপাশি জার্নালিং বা লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অনুভূতি এবং চিন্তাগুলো লিখে রাখা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। লিখে রাখার প্রক্রিয়ায় মনোভাব পর্যালোচনা করা যায় এবং ঘটনাটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝা সম্ভব হয়।

দ্বিতীয় ধাপে নতুন কাজে মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কোনো শখ, সৃজনশীল কাজ বা শিখনের মাধ্যমে মনকে ব্যস্ত রাখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ছবি আঁকা, সঙ্গীত শেখা বা অন্য কোনো সৃজনশীল কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করা স্মৃতির প্রভাব কমাতে সহায়ক।

তৃতীয়ত, জোর করে কোনো কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, জোর করে স্মৃতি দূরে পাঠানোর চেষ্টা করলে তা আরও বেশি মনে পড়ে। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে নিজেকে সময় দেওয়াই কার্যকর।

চতুর্থ উপায় হলো নতুন সম্পর্ক তৈরি করা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া মস্তিষ্ককে বর্তমানের দিকে মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। সামাজিক সংযোগ শক্তিশালী করলে আবেগের তীব্রতা হ্রাস পায় এবং পুরনো স্মৃতি ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে যায়।

পঞ্চম ধাপে কল্পনার প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন, আপনি পৃথিবীর এক প্রান্তে একটি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই দরজার ওপাশে ওই ব্যক্তি বা ঘটনা ঘটে। এরপর কল্পনায় দরজাটি বন্ধ করুন এবং নিজের পৃথিবীতে মনোনিবেশ করুন। এটি মস্তিষ্ককে বার্তা দেয় যে বর্তমান জীবনে ওই স্মৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এ ধরনের ধারাবাহিক মনস্তাত্ত্বিক অনুশীলন মস্তিষ্কে স্মৃতির গুরুত্ব কমাতে সাহায্য করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ব্যক্তি বা ঘটনা ধীরে ধীরে স্মৃতিতে কম প্রভাব ফেলে এবং ব্যক্তি মানসিকভাবে আরও স্থিতিশীল হতে পারে।

উপরোক্ত কৌশলগুলো বাস্তবসম্মত ও সহজভাবে অনুসরণযোগ্য। নিয়মিত প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তি প্রিয়জন বা অতীতের কোনো ঘটনাকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় এবং বর্তমানের জীবনে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com