নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দলের পক্ষ থেকে দেশের নাগরিকদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
এর আগে, তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার বুকের অংশে ইনফেকশনসহ হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে তার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানান তিনি।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেগম খালেদা জিয়া ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। পরে সেখানকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন জানান, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য।
মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে করা নিয়মিত পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে হার্ট ও ফুসফুসের কার্যক্রম, রক্তচাপ, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিমাপ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, সিসিইউতে রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো শারীরিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ও জটিলতা প্রতিরোধ করা।
বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিশেষ মনোযোগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ও দলীয় নেতারা তার সুস্থতার জন্য উদ্বিগ্ন, পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং ও প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বয়সজনিত কারণ এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ চালু থাকলে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে।
চলতি চিকিৎসা কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ও দেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড নিয়মিতভাবে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি সম্ভাব্য জটিলতা প্রতিরোধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে, দলের পক্ষ থেকে এবং চিকিৎসকরা দেশের নাগরিকদের কাছে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছেন। চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন যে, সমস্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা হয়েছে।