অনলাইন ডেস্ক
বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের অঞ্চলে স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকমপটির মাত্রা ছিল ৩.৬। তিনি আরও বলেন, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালে।
এর আগে, গত ২১ ও ২২ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটানা চারটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবার সকালেই ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এতে ১০ জন নিহত হয় এবং ৬০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, নরসিংদী ও আশেপাশের এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প সাধারণত স্থাপনার ক্ষতি করে না, তবে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নিয়মিতভাবে ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সতর্কতা প্রদান করা যায়।
ঢাকার মতো ঘনবসতি এলাকায় ভূমিকম্পের ক্ষতি সীমিত রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে। ভূমিকম্পের প্রভাব এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষকরা নিয়মিত ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, নাগরিকরা ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এছাড়া, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে নির্মাণকাজে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।