1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

পুষ্টি চিত্র নির্ধারণে গড় হিসাব নির্ভরতা বিপজ্জনক: ফরিদা আখতার

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দেশের সামগ্রিক পুষ্টি চিত্র নির্ধারণে গড় হিসাবের ওপর নির্ভর করাকে ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, গড় হিসাবের ফলে দেশের গরিব মানুষের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি ঘাটতি আড়াল হয়ে যাচ্ছে, যা নীতিনির্ধারণে ভুল ধারণা তৈরি করছে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘কৃষি ও খাদ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দেশীয় জাতের মাছ, মাংস ও প্রাণিসম্পদকে বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলো রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখনও দেশীয় মাছ ও প্রাণিসম্পদের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যেখানে বিশ্বের অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি টিকে আছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে শিল্প হিসেবে দেখা হলেও এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ উৎপাদন এখনও গ্রামীণ সাধারণ মানুষের হাতে হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, শিল্পায়ন প্রয়োজন হলেও দেশীয় প্রজাতির সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং সংকর জাত তৈরির সময় দেশীয় জাতের মৌল বৈশিষ্ট্য হারানো যাবে না।

পুষ্টিহীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিরো হাঙ্গার’ মানে শুধু পেট ভরে খাওয়া নয়, পুষ্টিমান নিশ্চিত করাও জরুরি। উদাহরণ দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, বছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার সংখ্যা ১৩৭টি হলেও এই গড় হিসাব ধনী ও গরিবের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাসের বৈষম্যকে আড়াল করে দেয়। তিনি গ্রামীণ খাদ্য ব্যবস্থার বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, অনেক সময় উৎপাদনকারী জেলার মানুষও নিজ এলাকার দেশীয় মাছ খেতে পারেন না। সাংবাদিকদের তিনি এই ধরনের বাস্তব তথ্য প্রচারের আহ্বান জানান।

ফরিদা আখতার একোয়াকালচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ফিড ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে ভবিষ্যতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তিনি বলেন, এসব বিষয় এখনই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

মাংস খাত নিয়ে তিনি বলেন, গরুর মাংসই একমাত্র উৎস নয়; মহিষ, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও কোয়েলসহ সব ধরনের মাংস ও ডিমের দিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্যে ফোর্টিফিকেশনকে একমাত্র সমাধান হিসেবে দেখার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তার বক্তব্যে দেশীয় সম্পদের সুরক্ষা, পুষ্টি ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নিশ্চিতের জন্য নিয়মিত ও বৈচিত্র্যময় খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তার ভাষ্যে, যথাযথ নীতিনির্ধারণ এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের জন্য সবস্তরের মনোযোগ প্রয়োজন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com