জাতীয় ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দেশের ৫২৭টি থানায় লটারির মাধ্যমে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার অফিসার (ওসি) পদায়ন করা হয়েছে। পদায়ন তালিকায় ‘প্রস্তাবিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, মেট্রোপলিটন এলাকার কোনো থানার ওসিকে এ পদায়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ঢাকা রেঞ্জে ১৩ জেলায় মোট ৯৮ থানার ওসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জেলায় ১১১ থানার ওসিকে নতুন পদায়ন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলায় ৬৪, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ৪ জেলায় ৩৬, বরিশাল রেঞ্জের ৬ জেলায় ৪৬, সিলেট রেঞ্জের ৪ জেলায় ৩৯, রাজশাহী রেঞ্জের ৮ জেলায় ৭১ এবং রংপুর রেঞ্জের ৮ জেলায় ৬২ থানার ওসিকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পদায়নের প্রক্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে। এর আগে ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হয়েছিল। এর পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ওসিদের লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদায়নের ফলাফল ঘোষণা করেন।
পদায়নের উদ্দেশ্য হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রমকে নির্বাচনী পরিবেশে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও কার্যকর রাখা উল্লেখ করা হয়। জেলার থানাগুলিতে নতুন ওসিদের দায়িত্বগ্রহণের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশের কর্মকাণ্ডে তৎপরতা বৃদ্ধি এবং জনসেবা আরও কার্যকরভাবে সম্পাদন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লটারির মাধ্যমে পদায়ন প্রক্রিয়া একটি স্বচ্ছ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত, যা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে বন্টন নিশ্চিত করে। বিশেষ করে নির্বাচনী সময়ে এই পদায়ন প্রক্রিয়া পুলিশের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন পরিচালনায় ভূমিকা নিশ্চিত করতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিদের পদায়নের ফলে থানার ব্যবস্থাপনা, অপরাধ দমন, নিরাপত্তা তদারকি এবং স্থানীয় জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রমে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। এছাড়া, কর্মকর্তাদের পুনঃপদায়ন ও নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ধরনের পদায়ন প্রক্রিয়া নিয়মিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, যা দেশের পুলিশ বাহিনীকে আরও সংগঠিত ও ফলপ্রসূভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়।