1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পূর্বের নির্বাচনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চললেও এবার তা বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হবে। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের পর্যালোচনা বৈঠক শেষে ইসি সচিব আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কমিশনের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। সচিব আরও জানান, তফসিল ঘোষণার দিনেই মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আচরণবিধি প্রতিপালন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও লজিস্টিক প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তর নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটের পাঁচ দিন আগে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে, যাতে আচরণবিধি ভঙ্গ, নির্বাচনী সহিংসতা বা প্রভাব বিস্তারের মতো পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ভোটের আগের রাতের মধ্যেই ব্যালটপত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে, যাতে নির্বাচনের দিন সকালে বিতরণজনিত কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়।

কর্মকর্তা নিয়োগ প্রসঙ্গে সচিব জানান, আসন্ন নির্বাচনের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দায়িত্বে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আপাতত নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রশাসনিক কাঠামোর অধীনে থাকায় তাদের মাধ্যমে দায়িত্ব বণ্টন ও পর্যবেক্ষণ তুলনামূলকভাবে সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।

এছাড়া, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। তবে ব্যাংক, পোস্ট অফিসসহ কিছু সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী খোলা থাকতে পারে। সচিব আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা যাবে না। এর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার বা উপদেষ্টা পরিষদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের পদে বহাল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না; শুধুমাত্র যারা আইনগতভাবে যোগ্য, তারাই প্রার্থী হতে পারবেন।

নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে পোস্টার–ব্যানার সম্পর্কে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সচিব জানান, তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব অনিয়মিত প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে তা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশনের মতে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে। সচিব জানান, বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের জন্য ডাকযোগে ব্যবহারযোগ্য ব্যালটপত্র ছাপানো ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই ব্যালটপত্রগুলো নির্ধারিত দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে, যাতে প্রবাসীরা আইন অনুযায়ী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। কমিশন মনে করে, এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বড় সংখ্যক বাংলাদেশের নাগরিককে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।

সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন দিক পুনর্মূল্যায়ন করছে। ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো, মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ, প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রবাসী ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির মতো উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে কমিশন নির্বাচনী আয়োজনকে আরও সুসংগঠিত করতে চাইছে। তফসিল ঘোষণার পর এসব প্রস্তুতি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ কেমন গড়ে ওঠে—সেটিই এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ ভোটারের নজরে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com