1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্মৃতি মান্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে ভাঙার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬১ টাইফয়েড টিকা অভিযানে দেশে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুর সুরক্ষা নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আসছে অগ্রগতি এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব মোস্তাফিজের সফল অভিষেকেও দুবাই ক্যাপিটালসের পরাজয়

দুর্নীতি দমন ইস্যুতে দলগুলোর স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দাবি

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ও কঠোর অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয়নি—এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত অঙ্গীকারের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে না কি কমেছে—এমন পরিসংখ্যান টিআইবি সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ না করলেও সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। তার মতে, দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সৃষ্ট দুর্বলতা ও জবাবদিহিহীন কাঠামোর কারণে দুর্নীতি দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়েছে। ফলে এটি হঠাৎ করে নির্মূল করা সম্ভব নয় এবং টেকসই সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত সময় ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। তিনি বলেন, “গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে অতি স্বল্প সময়ে দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ, কার্যকর আইন প্রয়োগ এবং সর্বস্তরে জবাবদিহিমূলক কাঠামো নিশ্চিত করা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবিরোধী লড়াইকে কেবল আইনগত পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রশাসন, রাজনীতি ও অর্থনীতির সব স্তরে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দলগুলোকে নির্বাচনের আগে দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। কোনো দল ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও সরকারি কর্মকাণ্ডে জবাবদিহি সংহত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। তার মতে, ইশতেহার শুধু নীতিগত প্রতিশ্রুতির দলিল নয়; বরং নির্বাচিত সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে।

এ সময় টিআইবির এক কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক উৎস, প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এবং সংগঠন পরিচালনায় পেশিশক্তি বা ধর্মীয় প্রভাবের ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়গুলোও ইশতেহারে স্পষ্ট করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি রাজনীতিতে অর্থ, প্রভাব ও ধর্মের ভূমিকা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বচ্ছ নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই দলগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এসব বিষয় নিয়ে স্পষ্ট নীতি ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেই প্রথমে সুশাসনের মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। তিনি মনে করেন, দলীয় পর্যায়ে অর্থ ব্যবস্থাপনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রার্থী মনোনয়ন এবং সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র—এসব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলগুলোর কাছে দুর্নীতি প্রতিরোধ, সুশাসন ও জবাবদিহিতা বিষয়ে অঙ্গীকার থাকা অপরিহার্য। কারণ, নির্বাচনের পর এই প্রতিশ্রুতি জনগণের কাছে জবাবদিহির ভিত্তি তৈরি করে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, ভূমি প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় দুর্নীতির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই এসব খাতকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার পরিকল্পনার কথা ইশতেহারে উল্লেখ করা উচিত। তিনি মনে করেন, নীতি-পর্যায়ে সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কার করা গেলে দুর্নীতি দমনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব।

টিআইবির মতে, নির্বাচনি ইশতেহারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি জনগণের আস্থা অর্জন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিশ্বাস পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ইশতেহারে দুর্নীতিবিরোধী নীতিগুলো সংযোজন করা হলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা উচিত, যাতে ভোটাররা প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে পারেন।

সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভবিষ্যৎ সরকার যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে প্রশাসন ও রাজনৈতিক কাঠামোতে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। তারা মনে করেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুশাসন, আইনের শাসন ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে কেন্দ্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করা জরুরি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com