1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১৫ কর্মকর্তার স্থানান্তর সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আসন্ন নির্বাচনে বেআইনি জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা স্পষ্ট করল ইসি গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাইলেন সিইসি স্কুল পর্যায়ে বহু-ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তারেক রহমান সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান পরিকল্পনা সচিবের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক হতে হবে : মির্জা ফখরুল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কিউবার সাবেক মন্ত্রীর আজীবন কারাদণ্ড

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান পরিকল্পনা সচিবের

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

সরকারের আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত ফল দেবে না—এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা সচিব এস এম শাকিল আখতার। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলতা ব্যাহত হলে উন্নয়ন কার্যক্রম টেকসই থাকে না এবং এর প্রভাব সরাসরি সমাজ ও জনগণের ওপর পড়ে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মঙ্গলবার তিনি এসব বক্তব্য তুলে ধরেন। সভায় পরিকল্পনা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় পরিকল্পনা সচিব চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাঠামো, বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং প্রশাসনিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সভায় তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের সময় যেভাবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করা হয়, বাস্তবায়নের পর্যায়ে তার অনেক কিছুই প্রতিফলিত হয় না। প্রকল্প প্রস্তাবনায় উচ্চমানের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মাঠপর্যায়ে তা অনুসরণে ঘাটতি দেখা যায়। শুধু বরাদ্দ গ্রহণের লক্ষ্যে উপস্থাপিত পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর উন্নয়ন কাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। তাই প্রকল্প চক্রের প্রতিটি ধাপে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, নির্ভুল তথ্য ও কার্যকর পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দায়িত্বহীনতার কারণে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ঘটে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হয়। জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি থেকে কোনো ভুল হলে তা সংশোধনের সুযোগ থাকে; কিন্তু ইচ্ছাকৃত দায়িত্বহীনতা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এ ধরনের আচরণ রোধে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। তার মতে, দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সংস্কৃতি শুরু হলে সরকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন স্পষ্ট হবে।

সভায় পরিকল্পনা সচিব দেশের সামগ্রিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, সুশাসন ও উন্নয়ন পরস্পর সম্পর্কিত। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, সরকারি ব্যয় তদারকি, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত– এসব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়নকে টেকসই করা কঠিন। তিনি মনে করেন, জবাবদিহিমূলক কাঠামো তৈরি হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়বে এবং জনগণ উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল দ্রুত পাবে।

উন্নয়ন প্রকল্পের পরিবীক্ষণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। পরিকল্পনা কমিশন, বাস্তবায়ন সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জোরদার হলে প্রকল্পের গতি বৃদ্ধি পাবে। সময় ও ব্যয়–উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে তিনি নিয়মিত অগ্রগতি মূল্যায়ন, ডকুমেন্টেশন উন্নয়ন এবং প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণ জোরদারের পরামর্শ দেন।

সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা দেশের চলমান উন্নয়নধারা, প্রকল্প কাঠামো ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত তুলে ধরেন। আলোচনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি, জনসম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয় গুরুত্ব পায়। তারা মনে করেন, প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে চূড়ান্ত বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তথ্যের যথার্থতা ও অনুসরণীয়তা বজায় থাকলে উন্নয়ন সুফল সুস্পষ্ট হবে।

পরিকল্পনা সচিব সাংবাদিকদের ভূমিকাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম বিভিন্ন অসঙ্গতি, বিলম্ব ও সমস্যা তুলে ধরলে প্রশাসনিক সংস্থাগুলো সেগুলো খতিয়ে দেখতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ নীতিনির্ধারকদের বাস্তব চিত্র জানতে সহায়তা করে, যা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলভাবে তথ্য উপস্থাপনার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও উন্নয়ন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে তাদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

সভায় আলোচনার সার্বিক প্রেক্ষাপটে উঠে আসে, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখনও বহুমুখী চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, সময়সীমা অতিক্রম, মানসম্মত কার্যসম্পাদনের ঘাটতি, সক্ষমতা উন্নয়নের অভাব—এসব সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দায়িত্বশীলতা ও সুশাসন নিশ্চিত হলে উন্নয়ন প্রকল্প কেবল গতিশীলই হবে না, বরং জাতীয় অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সভার আলোচনায় বক্তারা প্রত্যাশা প্রকাশ করেন যে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গতি, মান ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। তারা মনে করেন, নীতি-পর্যায়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের উন্নয়নধারা আরও সুসংহত হবে এবং জনগণ সরাসরি এর সুফল পাবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com