1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১৫ কর্মকর্তার স্থানান্তর সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আসন্ন নির্বাচনে বেআইনি জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা স্পষ্ট করল ইসি গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১৪ ডিসেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাইলেন সিইসি স্কুল পর্যায়ে বহু-ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তারেক রহমান সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান পরিকল্পনা সচিবের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে এক হতে হবে : মির্জা ফখরুল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কিউবার সাবেক মন্ত্রীর আজীবন কারাদণ্ড

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের জন্য ৩০০ জন বিচারক নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সিইসি বলেন, প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সাক্ষাৎ শেষে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তিনি বলেন, আদালত সংশ্লিষ্ট বিচারকদের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মূলত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হলেও আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ তুলে ধরা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রধান বিচারপতি চলতি মাসেই অবসরে যাচ্ছেন। অতীতে একসঙ্গে কর্মসম্পাদনের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এ সাক্ষাৎ একই সঙ্গে বিদায়ী সৌজন্যবিনিময় হিসেবেও অনুষ্ঠিত হয়।

সিইসি বলেন, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি বা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি মাঠে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ যাচাই করা এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান পরিচালনার মতো দায়িত্ব এসব কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকে। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার পরপরই এসব কমিটির কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হয়েছে। এতে করে নির্বাচন-সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ আরো দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা যাবে।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনায় সিইসি বলেন, দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এসব কমিটি প্রধানত বিচার বিভাগের সদস্যদের নেতৃত্বে গঠিত হয়। এতে তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়। কমিশন আশাবাদী যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নির্বাচনকালীন অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে এবং সর্বোপরি নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি যথাযথ গতিতে এগোচ্ছে। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলে কমিশনের অন্যান্য কার্যক্রম, যেমন প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই, মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ এবং মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কাঠামো সক্রিয় করার কাজ ধারাবাহিকভাবে শুরু হবে। এসব ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের সহায়তা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সিইসি আরও জানান, দেশের নির্বাচনী রেওয়াজ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতা চান। সাধারণত নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও এই সাক্ষাতে উপস্থিত থাকেন; তবে এবার সিইসি তার দপ্তরের সচিবকে সঙ্গে নিয়ে এককভাবে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় বিচার বিভাগের অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে কমিশনের ওপর দায়িত্বের চাপ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে কমিশন আশা করছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের সময় অভিযান পরিচালনা, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্বাচনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন মনিটরিং—এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকেন। সে কারণে তাদের নিয়োগ নির্বাচন পরিচালনায় একটি অপরিহার্য দিক।

সিইসি বলেন, কমিশন চায় নির্বাচনকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনানুগতার মধ্যে রাখতে। এজন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগের সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধান বিচারপতির আশ্বাস অনুযায়ী বিচার বিভাগের সহযোগিতা নির্বাচনী কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করবে এবং ভোটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় কমিশন সব দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় জোরদার করছে। বিচার বিভাগের সঙ্গে এই আনুষ্ঠানিক আলোচনা নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে নির্বাচন কমিশন মনে করছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com