1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

বরগুনায় ১৫ ফুটের জোয়ারে বাঁধ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১
  • ১৩৫ বার দেখা হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধি

উপকূলের জেলা বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পূর্ণিমার সময় বাড়ে। ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা পাঁচ থেকে সাত ফুট বৃদ্ধি পায়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল বুধবার আঘাত হানবে। সে সময় ভরা পূর্ণিমা থাকবে। তখন ঝড়ের প্রভাবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওই দিন উপকূলের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতার জোয়ার প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা জলোচ্ছ্বাসের রূপ নিতে পারে। এতে স্বল্প উচ্চতার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বাঁধ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জেলায় ৮০৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নানা কারণে জেলার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি। জেলার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বাঁধের উচ্চতা ১৩ ফুটের একটু বেশি। পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতায় নদ-নদীর পানি জোয়ারের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে জেলার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার স্বল্প উচ্চতা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি গ্রামের বাসিন্দা খায়রুল আলম বলেন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় কর্তৃপক্ষের বাঁধ নির্মাণে টনক নড়ে। ঝড় থেমে গেলে তাদের আর খবর থাকে না। বর্ষা মৌসুমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ কারণে বাঁধের স্থায়িত্ব থাকে না। বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করা না হলে উচ্চ জোয়ারে বাঁধ প্লাবিত হয়ে বাজার এলাকা প্লাবিত হবে। এতে ব্যাপক সম্পদহানির আশঙ্কা রয়েছ।

পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মাঝি বলেন, সিডরের সময় নদীতে বিলীন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী বা টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে হলে ঠিকঠাক বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। সিডর ও আইলায় যেসব বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাও পুরোপুরি মেরামত করা হয়নি।

জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, বরগুনায় যে বাঁধ আছে, তা পাকিস্তান আমলের। এরপর আর উল্লেখযোগ্যভাবে বরগুনায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে বরগুনার সিংহভাগ বাঁধ পানিপ্রবাহ প্রতিহত করার জন্য মোটেই উপযোগী নয়। পানিপ্রবাহের তুলনায় অনেক বাঁধই নিচু।

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, জেলায় ১৩ ফুট বা তার একটু বেশি উচ্চতার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। নানা কারণে এসব বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যদি ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতায় নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হয়, তাহলে এই বাঁধ প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

কায়ছার আলম বলেন, তবে কোনো এলাকার বাঁধ প্লাবিত বা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে ওই এলাকা পুরোপুরি নিমজ্জিত হবে না। কারণ, বরগুনা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর নির্মাণের ফলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বরগুনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ যুগোপযোগীভাবে নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com