বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ড. এ কে আবদুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরওয়ার্ড’ গ্রন্থ অবদান রেখেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয় লেখক তাঁর গ্রন্থে তুলে ধরেছেন, যা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেনের ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরওয়ার্ড’ এ কালেকশন অভ্ আর্টিকেলস এন্ড স্পিচেস গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপাচার্য ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অশোকা ফেলো সেলিম সামাদ, সুচিন্তা ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ এ আরাফাত বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, গ্রন্থে উপস্থাপিত প্রবন্ধে ও বক্তব্যে অনেক গুরুত্বপূর্র্ণ তথ্য ও অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে যা পাঠকদেরকে সমৃদ্ধ করবে। তিনি সরকারের ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিতদের তাঁদের নিজ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ধরনের প্রকাশনা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করবে।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য এ গ্রন্থে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহকে কেন্দ্র করে বিদেশি পত্র-পত্রিকা ও জার্নালে প্রকাশিত ২৪টি প্রবন্ধ এবং ১৯টি বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এর আগে স্পিকার ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরওয়ার্ড’ এ কালেকশন অভ্ আর্টিকেলস এন্ড স্পিচেস গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।