আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’র প্রতি অনেক আগে থেকেই বঙ্গবন্ধুর বিশেষ টান ছিল উল্লেখ করে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ড. সনজীদা খাতুন বলেন, ষাটের দশকে পাকিস্তানী শাসকদের রবীন্দ্র বিরোধিতার কালে তিনি এর প্রমাণ পেয়েছেন।
প্রবীণ শিল্পী সনজিদা খাতুন নানান শারীরিক জটিলতায় আজকাল কারো সঙ্গে খুব একটা কথা না বললেও উৎসাহ নিয়ে বাসসের কাছে এক ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় আমার সোনার বাংলা’ শীর্ষক তাঁর এক লেখায়ও তিনি এ ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ষাটের দশকে একবার কার্জন হলে একটি অনুষ্ঠানে আমাকে গান গাইতে বলা হয়েছিল। আমি খুব বিস্মিত হয়ে গেলাম গান গাইতে। কী গান গাইবো? এমন সময় জানা গেল শেখ মুজিব সেখানে আসবেন। তখন তিনি কেবলই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু বলা হতো না তাঁকে। তিনি লোক দিয়ে আমাকে বলে পাঠালেন আমি যেন ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটা গাই। আমি খুব ঘাবড়ে গেলাম। পাঁচটি স্তবকের এত লম্বা একটা গান আমার মুখস্ত নেই। তখন তো আর এটা জাতীয় সঙ্গীত নয়। পুরো গানটা আমি কেমন করে শোনাবো? তখন ছাত্ররা চেষ্টা করে গীতবিতান সংগ্রহ করে এনে দিলেন। আমি কোনমতে গানটি গেয়েছিলাম।
সনজিদা খাতুন বলেন, তিনি এইভাবে গান শুনতে চাওয়ার কারণ কি ছিল? পরে জানলাম সেই অনুষ্ঠানটি তৎকালীন পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্যদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। গণপরিষদের পশ্চিম পাকিস্তানের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ কথাটা আমরা কত সুন্দর করে উচ্চারণ করি। এই গানটার ভেতরে যে অনুভূতি সেটা তিনি তাদের কাছে পৌঁছাবার চেষ্টা করেছিলেন এবং আমার তো মনে হয়, তখনই তার মনে এটাকে জাতীয় সঙ্গীত করবার কথা মনে এসেছিল।বিস্তারিত