দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বা ত্রাণ বিতরণ ও সংগ্রহের নামে কোনো গোষ্ঠীকে ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না। সরকার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখছে। সবাইকে সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এসময় তিনি জানান, এসব লোকদের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে সাময়িকভাবে রাখা হচ্ছে। কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক ব্লকের জন্য একটি করে প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট ও গোডাউন স্থাপন করা হবে। ফলে সেবা প্রদান সহজ হবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের অধিক শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার শেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশি বিদেশি এনজিওদের সহায়তায় নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ৬ লাখ লোকের খাদ্যের সংস্থান করবে। বাকি লোকদের দেশি বিদেশি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ থেকে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিশ^ খাদ্য সংস্থা তাদের নতুন বাজেটে পরবর্তীতে বাকি লোকদের অন্তর্ভুক্ত করে নিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ত্রাণসচিব মো. শাহ্ কামাল, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ এম এ হাসেমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।