গত মে মাসে ইভ্যালিতে ইলেকট্রনিকস পণ্যের ফরমাশের পর অর্থ পরিশোধ করে পণ্য ও টাকা না পেয়ে কোম্পানিটির অবসায়ন চেয়ে গ্রাহক ফরহাদ হোসেন ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইভ্যালির সব সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তর থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা দেন।
একই সঙ্গে কোম্পানি কেন অবসায়ন করা হবে না, এ মর্মে নোটিশ ইস্যু করা হয়। হাইকোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন রাখেন। সে অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
পরে আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট ইভ্যালির সব নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বর্তমানে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
মামলায় রাসেল ও নাসরিনকে ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রাসেলের স্ত্রী শামীমা ইভ্যালির চেয়ারম্যান। তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হওয়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় পরে তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ।