আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তিপেতে চাইলে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। তবে তার প্যারোলে মুক্তি চাইলে তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। জামিনে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি আদালতের, সে এখতিয়ার সরকারের নয়।’
তিনি বলেন, এর আগে প্রায় ৩০ মামলায় বেগম জিয়া জামিনপেয়েছেন। আর যে মামলায় রায় হয়েছে সে মামলা আমরা করিনি, রায়ও আমরাদেইনি। তাই রায়ের বিষয়ে তারা আইনিভাবে আদালতে এগুতে পারে। এটা পুরোটাই আদালতের বিষয়।
আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারো সীমিত পরিসরে সংলাপ করা যেতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আলোচনার পরিবেশটা ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ,খোলামেলা পরিবেশে তারা কথা বলেছেন।যে যেটা বলতে চেয়েছেন তা তারা অবাধে বলেছেন। এমনকি তাদের কথা সংক্ষেপ করতেও বলা হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা একেবারে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তারা যদি আবারও বসতে চায়, আমরা আবারোচেষ্টা করবো।’
সংলাপের মাধ্যমে বরফ গলতে শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, একসঙ্গে বসলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারও ছোট পরিসরে বসাই যায়। তবে সময়বেশি নেয়া ঠিক হবে না। ৭ তারিখের পর সংলাপ হবে কি না তা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।
সংলাপ ও আন্দোলন এক সাথে চলতে পারেনা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসভা করতে তো কারও কোন বাধা নেই। তবে সংলাপ এবং আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না।’
সংলাপের মাধ্যমে দুরত্ব কমেছে বলে মনে করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘দেখুন আলাপ আলোচনার একটি ভাল দিক আছে। সামনাসামনি বসে দেখাদেখিতো হলো, চোখাচোখি হলো। এটাও তো একসময় ছিল না। সেটাতো হলো। আর পরিবেশটা ছিল সৌহাদ্যপূর্ণ এবং খোলামেলা। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কথা বলার সময় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। কাউকে থামিয়ে দেয়া হয়নি। একেবারে স্বাধীনভাবে সেদিন ঐক্যফন্টের নেতারা কথা বলেছেন।