’গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি, গণফোরাম, জাসদ (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের পক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। কিন্তু এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে আমরা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নির্বাচন একমাস পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি করছি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের পর সরকারি দল সমঝোতার কোনো মনোভাব দেখায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সরকারের কাছে যে সাত দফা দাবি দিয়েছি, তার প্রায় সবগুলো পূরণের কোনা আশ্বাস তো দেনইনি, উপরন্তু কয়েকটিকে অসাংবিধানিক অভিহিত করেছে।
নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের তফসিল পেছানোর আহ্বানে সরকার সাড়া দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তারা সরকারের চাহিদা অনুযায়ী, তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করেছে। এটাই প্রমাণ করে সরকার সংলাপের পর কোনো সমঝোতায় যায়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। আমরা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের তৎপরতার প্রতি কড়া নজর রাখব। এটা আন্দোলনেরই অংশ।
আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরা জনগণের ঐক্যের ওপর জোড় দিচ্ছি। জনগণ যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ইনশাল্লাহ এবারও তাই হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে।
নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের প্রতীক কী হবে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে। ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সংবিধানের মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে এই ঐক্য গঠন করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় দাবি পরিবর্তন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই ঐক্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জেএসডি সহ-সভাপতি তানিয়া রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ।