একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৭৪৫ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯৬ জন। এবারের নির্বাচনে কোনো আসনে একক প্রার্থী না থাকায় কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি।
এ নির্বাচনে প্রতি আসনে গড়ে ৬ জন লড়ছেন। কুমিল্লা-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। আর সর্বনিু ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন চট্টগ্রাম-৬, বান্দরবানসহ কয়েকটি আসনে। সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, যেসব আসনে একই দলের একাধিক প্রার্থী ছিলেন, তাদের মধ্যে ওই দল যাকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে তিনি ছাড়া বাকিদের প্রার্থিতা রহিত হিসেবে গণ্য করছে ইসি।
রোববার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরই নির্বাচনী এলাকায় চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর নির্বাচন কমিশন সোমবার রাতে চূড়ান্ত সংখ্যা জানাল।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তা সঠিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করা এবং তাদের তথ্য ইসিতে পাঠাতে না পারায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার চূড়ান্ত প্রার্থীর তথ্য পাঠাতে বলা হলেও কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের নির্ভুল নাম পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে সোমবার আবারও মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে ইসি সচিবালয়কে।
৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়। ওই তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিলেন ২ হাজার ৫৬৭ জন, বাকি ৪৯৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন ৫৪৩ জন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৪৩ জন। রোববার ও সোমবার উচ্চ আদালতে রিট করে আরও কয়েকজন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার রায় পেয়েছেন।