1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
লাপাত্তা সেই ১৪ দল অফিস ভাড়া বাকি রেখে উধাও গণতন্ত্রী পার্টি কাগজে থাকলেও বাস্তবে অফিস নেই তরিকত ফেডারেশনের গোলাম রাব্বানী ও শরিফুল ইসলাম সীমান্ত ভোটের জটিল হিসাবে দুই প্রার্থী ♦ ভাগ্য ঝুলছে অঙ্গরাজ্যের ভোটে ♦ কমলায় ঝুঁকেছেন শ্বেতাঙ্গ নারীরা ♦ ট্রাম্পে সমর্থন হিসপ্যানিকদের Chief Adviser urges Australia to increase regular migration from Bangladesh রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কিংবা দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনমুখী সরকার ইসি গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত প্রধান হচ্ছেন বিচারপতি জুবায়ের ভোট প্রস্তুতিতে বিএনপি ♦ জোট নেতাদের দেবে আসন ছাড় ♦ বিজয়ী হলে গড়বে জাতীয় সরকার ♦ নভেম্বরে মহানগরসহ সব সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ ৩ লাখ কোটির হদিসে দুই সংস্থা ১৫ বছরে বিপুল পাচার টাকা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ও সিআইডি UN fact-finding mission likely to finalise its report by early Dec: Türk ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩১২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, আরও ৬ প্রাণহানি আবারও অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা

প্রাইভেট-কোচিং নির্ভর ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অষ্টমে ২৮.৯ ও নবমে ২৬.২ শতাংশ ৩৩ নম্বরও পায়নি মোবাইল ফোনে আসক্ত এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী।

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯৯ বার দেখা হয়েছে

প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। শহরাঞ্চলে এই নির্ভরতা আরো অনেক বেশি। শহরে অষ্টম শ্রেণির ৯০ শতাংশের বেশি ও নবম শ্রেণির ৯২ শতাংশের বেশি প্রাইভেট-কোচিং সেন্টারের ওপর নির্ভর করে। গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে এই হার প্রায় ৯০ শতাংশ এবং নবম শ্রেণিতে ৮৬ শতাংশ। ঢাকা শহরের বস্তিতে বসবাসরতদের মধ্যেও অষ্টম শ্রেণির ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাইভেট-কোচিংয়ের দ্বারস্থ হয়।

 

গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২২’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ‘মহামারি উত্তর শিক্ষা : স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামী অভিযাত্রা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এই গবেষণার জন্য গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ৯০ মিনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শিখন দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। ভৌগোলিক, উন্নয়ন বৈচিত্র্য ও বিস্তার বিবেচনায় আট বিভাগের আট জেলা এবং ২১টি উপজেলা ও দুটি সিটি করপোরেশন এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, অভিভাবকদের তথ্য অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণির ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরিংয়ের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করছে। এছাড়া প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ এবং ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী তাদের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিক গাইড বই অনুসরণ করেছে। ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে ৬৬৯ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৬৫ টাকা পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিখন মূল্যায়নে দেখা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ২৬ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ৩৩ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে পারেনি। আর অষ্টম শ্রেণিতে ৩৩ থেকে ৩৯ পর্যন্ত নম্বর পেয়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং নবম শ্রেণিতে তা ছিল ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। মহামারিজনিত স্কুল বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনের ওপর সামগ্রিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

বিষয়ভিত্তিক পারফরমেন্সে দেখা যায়, অষ্টম শ্রেণির যে সব শিক্ষার্থী ৩৩ শতাংশ নম্বর ওঠাতে পারেনি, তাদের মধ্যে ৮২ শতাংশ বাংলায়, ইংরেজিতে ৬৫ ও গণিতে ৬৬ শতাংশ। আর নবম শ্রেণির ৩৩ শতাংশ নম্বর না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ বাংলায়, ইংরেজিতে ৭২ শতাংশ ও গণিতে ৬৫ শতাংশ। তবে উভয় শ্রেণিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। যশোর জেলায় সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে হবিগঞ্জ জেলা, তাদের পাশের হার ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ।

ডিভাইস ব্যবহার ও গেইম খেলার ব্যাপারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরের প্রায় এক-চতুর্থাংশ অভিভাবক শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহারকে একটি সমস্যা (মোবাইল ফোন আসক্তি) হিসেবে দেখেছেন। তবে তিন-চতুর্থাংশ বাবা-মা এটিকে কোনো উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসেবে দেখেননি।

গবেষণা প্রতিবেদনে ছয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে মহামারির পরিণতি উপেক্ষা না করা, শিখন ক্ষতি পুনরুদ্ধার ও শিখন প্রতিকারের ব্যবস্থা করা, এক বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের গ্রেড লেভেলে নিয়ে আসা, কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অধিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগ করা, এনজিও ও সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়ানো অন্যতম।

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদত্ হোসেন, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ ও ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com