ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বেশ কিছু হাসপাতালে চিকিৎসক আন্দোলনে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। তবে জরুরি বিভাগ চালু থাকায় সীমিত পরিসরে মিলেছে সেবা। আজ থেকে বহির্বিভাগ, ইনডোর এবং রুটিন সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গতকাল সকাল ১০টায় ঢামেকের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারে তালা ঝুলছে। কাউন্টারের সামনে অপেক্ষমাণ রয়েছে ১০-১২ জন রোগী ও স্বজনরা। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে এসেছেন এই রোগীরা। বহির্বিভাগ থেকে সেবা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কাউকে আবার হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২ হাজার ৬০০ আসনের এই হাপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। বহির্বিভাগে সেবা না পেয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করেন রোগীরা। এতে অন্যদিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রোগীর চাপ পড়ে জরুরি বিভাগে। এত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম পরিস্থিতিতে পড়তে হয় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের। গত সপ্তাহে আশুলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছিলেন সালাম মিয়া। সেলাই কাটা এবং পরবর্তী ওষুধের জন্য গতকাল হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। সালাম মিয়া বলেন, বহির্বিভাগে গিয়ে দেখি বন্ধ, কোনো চিকিৎসক নেই। ওখান থেকে জরুরি বিভাগে এসেছি। কিন্তু এখানে ভীষণ ভিড়। প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও সিরিয়াল আসেনি। একই অবস্থা দেখা যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। সকাল ৯টায় হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করেন কয়েক শ রোগী। চিকিৎসকদের আন্দোলনের কথা শুনে অনেকেই ফিরে যান। যারা জরুরি রোগী নিয়ে এসেছেন তারা জরুরি বিভাগে গিয়ে ভিড় করেন।বিস্তারিত