বিদায়ি বছরটা শুরু হয়েছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। আর শেষ হলো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা-আশঙ্কার মাধ্যমে। সারা বছর সাধারণ মানুষকে ভুগিয়েছে অতিরিক্ত পণ্যমূল্য। বছরব্যাপী সামগ্রিক অর্থনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে মূল্যস্ফীতি। ফলে ব্যবসা-বিনিয়োগের মন্দা কাটানো যায়নি। ডলারের বাজার এখনো অস্থির। অবাধে অর্থ পাচারের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। ব্যাংকে ও ব্যাংকের বাইরে ডলারের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে যায়। প্রতি ডলারের দাম উঠে যায় ১২৩ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য বছর শেষে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার ফলে গতকাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। যদিও ডলারের বাজারে আবারও নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নানাবিধ সংকটের কারণে সরকারের বাজেট বাস্তবায়নও বাধার মুখে পড়ে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে যেতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে।
বিদায়ি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যা দেশে-বিদেশে ডামি নির্বাচন হিসেবেই পরিচিতি পায়। এই নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচনের আগে থেকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করে। এতে করে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিল্প উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আস্থা হারিয়ে ফেলেন।বিস্তারিত