1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ১৫৭ বার দেখা হয়েছে

 

 

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি;

 

 

 

 

অনলাইনে এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার করছে একটি চক্র। বাংলাদেশের কিছু ট্রাভেল এজেন্ট বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দেদারসে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রির এ টাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে বিদেশের ট্রাভেল এজেন্সির একাউন্টে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে সরকার বিভিন্ন প্রকার কর থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টিকিট বিক্রির জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা এয়ারলাইন্সের পক্ষে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে থাকে। টিকিট বিক্রির পর কমিশনের টাকা দেশে রেখে বাকী টাকা বিদেশি এয়ারলাইন্সের একাউন্টে পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জিএসএগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে থাকে। এছাড়া জিএসএগুলো টিকিট বিক্রির অর্থের ওপর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে থাকে। কিন্তু অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ কোনো অর্থ গ্রহণ করে না। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের অর্থ সরাসরি চলে যায় বিদেশি এয়ারলাইন্সের অ্যাকাউন্টে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কয়েকদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্টগুলো টিকিট বিক্রি করছে। এসব দেশি এজেন্ট এবং তাদের ব্যবহার করা ওয়েবসাইট হচ্ছে- ট্রিপ অ্যান্ড কেয়ার (ট্রিপএনকেয়ার ডটকম), জিটিআরআর( জিটিআরআরট্রাভেলস ডটকম), আকবর ট্রাভেলস(এক্সইন্ডিয়া ডট আকবরট্রাভেলসঅনলাইন ডট কম), স্টার ডিএমসি (স্টারডিএমসি ডটকম), নিড৮২(নিড৮২ ডটকম), ভিয়া ডটকম (ইন ডট ভিয়া ডটকম), টিভিও হলিডেজ (ট্রাভেলবুটিকঅনলাইন ডটকম), মাইসটিফ্লাই (মাইসটিফ্লাই ডটকম)।

আরো পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-মির্জা ফখরুলের সেই আলোচিত ফোনালাপ ফাঁস

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (আটাব) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বেশকিছু ট্রাভেল এজেন্সি বিদেশি কোম্পানির পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে টিকিট বিক্রি করছে। এসব এজেন্সি হচ্ছে- এক্সিকিউটিভ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ট্রাভেল সলিউশন লি., হাল ট্রাভেল সার্ভিসেস লি., ট্রাভেল জু বিডি, মাহিমা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ট্যুও প্ল্যানার্স লি., আইকন হলিডেজ, ক্রিস্টাল ওয়ে ট্রাভেলস, লেক্সাস ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, ভিভিড হলিডেস লিমিটেড, বি ফ্রেস, পপুলার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ফ্লেমিংগো ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লি., আল সিরাজ ট্রাভেলস, স্কইনেট জার্নি অ্যান্ড রেস্ট, উইংস ক্লাসিক ট্যুরস, সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস, এয়ার বাংলাদেশ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মক্কা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, নরসিংদী ট্যুরস, বুক হোটাক এবং ট্রাভেল বুকিং।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণত দেশীয় ট্রাভেল এজেন্টরা বৈধ উপায়ে যেসব টিকিট বিক্রি করে সেগুলোর ওপর সরকার পয়েন্ট ৩ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) পেয়ে থাকে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com