ঢাকা ব্যাংকসহ তিন ব্যাংকের মামলায় দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপি বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীরকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল অর্থঋণ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে ৩ নভেম্বর সিটি ব্যাংকের মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। অর্থঋণ আদালতের সেরেস্তাদার মুক্তাদির মাওলা জানিয়েছেন, ঢাকা ব্যাংকের অর্থজারি মামলায় ফেরদৌস খানকে পাঁচ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মামলায়ও পাঁচ মাস করে মোট ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সম্প্রতি চট্টগ্রামের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও তাদের ধরতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। এর পর পরই একাধিক ঋণখেলাপি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীর সিটি ব্যাংকের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালত ঢাকা ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ডিক্রিদার ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়ানি আটকাদেশ দেন। আদালতের নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, ফেরদৌস খান আলমগীরের বিরুদ্ধে ঢাকা ব্যাংকের বর্তমান পাওনা ৭৭ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংকের চেক প্রতারণার অভিযোগে ১৬ কোটি টাকার মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এছাড়াও সিটি ব্যাংকের ৩২ কোটি টাকার অর্থজারি মামলা, সিটি ব্যাংকের চেক প্রতারণার অভিযোগে করা ১৪ কোটি টাকার এসটি মামলাও বিচারাধীন। অন্যদিকে ব্যাংক এশিয়ার ২২ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১৫ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৭৯ লাখ টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলাগুলোর বিচারও চলছে। আরো বিচারাধীন রয়েছে ৭৯ লাখ টাকার চেক প্রতারণার মামলা, ৭৯ লাখ টাকার এসটি মামলা ও ১ কোটি টাকার এসটি মামলা। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ীর কাছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। সিটি ব্যাংকের আইনজীবী মোহাম্মদ নাঈম ভূঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, বিচারক নথিপত্র পর্যালোচনা করে বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীরকে সিটি ব্যাংকসহ তিনটি ব্যাংকের মামলায় পাঁচ মাস করে সর্বমোট ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের রায়ের পাশাপাশি প্রশাসন যদি ঋণখেলাপিদের গ্রেফতারে সচেষ্ট হয়, তবে ব্যাংকের টাকা আদায় কার্যক্রম আরো বেগবান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার চট্টগ্রামের রাউজানের ফেরদৌস খান আলমগীর। তাঁর পিতা আইয়ুব খান ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সারের ডিলার। চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটে ছিল তাদের কার্যালয়। এক সময় সারের ব্যবসা থেকে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায় আসেন আলমগীর ও তার সহোদর। পরে ফিশিং, আবাসন, পরিবহনসহ আরো কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স আলমগীর ব্রাদার্স, বাগদাদ ট্রেডিং, ফেরদৌস এন্টারপ্রাইজ, বাগদাদ এক্সিম করপোরেশন, বাগদাদ পরিবহন, বাগদাদ প্রপার্টিজ। এরপর ব্যাংকগুলো থেকে একের পর এক ঋণ সুবিধা নেন। প্রথমদিকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ভালো করে ব্যবসা করলেও পরে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে গড়িমসি শুরু করেন। একপর্যায়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ আটকে যায়। ব্যাংক এশিয়া শেখ মুজিব রোড শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০০৩ সালের দিকে তাদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান। তখন পর্যন্ত সরকারি আদেশে সার আমদানির ব্যবসা করত মেসার্স আলমগীর ব্রাদার্স। সার আমদানি করতে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করলেও এ ঋণের টাকা ব্যবহার করা হতো অন্যান্য খাতে। এতে অন্যান্য খাতে ব্যবসায় লোকসান হলে ব্যাংকের ঋণ ফেরত দিতে গড়িমসি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির বন্ধক রাখা সম্পত্তিতেও মালিকানা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। ঋণখেলাপির তালিকায় থাকা পরিবারটির একাধিক সদস্য ব্যাংকের টাকা না দিয়ে কানাডায় বাড়ি করে আবাস গড়েছেন। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট খেলাপি ঋণের ৯ মামলায় ফেরদৌস খানের স্ত্রী মেহেরুন নেছাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। মেহেরুন নেছা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের বড় ভাই নবী দোভাষের মেয়ে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেক প্রতারণার নয় মামলায় মেহেরুন নেছার সাজা হয়েছে। গ্রেফতারের পর নয় মাস সাজা ভোগ করেন তিনি। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত থাকলেও ফেরদৌস খান আলোচনায় আসেন মূলত বাগদাদ এক্সপ্রেস নামের বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালুর মাধ্যমে। ২০১৩ সালের দিকে ১৫টি বিলাসবহুল মার্সিডিজ এসি বাস দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। তবে অন্যান্য ব্যবসার মতো ব্যাংকের টাকায় কেনা বাসগুলোর ঋণের কিস্তি সময়মতো পরিশোধ না করে কয়েক বছর পর বাস চলাচলই বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও চলতি বছরের ১১ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকার গ্যারেজে আগুন লেগে ১১টি মার্সিডিজ এসি বাস পুড়ে যায়। সর্বশেষ ১৯ মার্চ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো আবেদন জমা পড়েনি। নিয়ম অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিকাণ্ডের কোনো সূত্র সংগ্রহ করা না গেলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস তদন্তে নামে। কিন্তু কেউ আবেদন না করায় দীর্ঘদিন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম জেলার মহানগর ইউনিট। বাগদাদ পরিবহনে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এভিপি ও হেড অব ব্রাঞ্চ (প্রবর্তক শাখা) মোহাম্মদ ওসমান জানান, পরিবহন খাতে ব্যবসা করতে ২০১৩ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় বাগদাদ গ্রুপ। ব্যাংকের টাকায় বাগদাদ এক্সপ্রেস নামে বিলাসবহুল মার্সিডিজ বাসের ব্যবসা করলেও গত আট বছরে ব্যাংকের টাকা শোধ করেননি ফেরদৌস খান। বর্তমানে বাগদাদ গ্রুপের কাছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক প্রবর্তক মোড় শাখার ৩৪ কোটি টাকা পাওনা আটকে রয়েছে। এ পাওনা আদায়ে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকার ৬০ শতক জমি নিলামে তোলে। তবে তাতেও উপযুক্ত দরদাতা পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘হাসান
সাইদ শাহীন দেশের মোট চালের অর্ধেকের বেশি উৎপাদন হয় বোরো মৌসুমে। বোরো আবাদ অতিমাত্রায় সেচনির্ভর। ফলে এ ধান চাষে মোট খরচের প্রায় অর্ধেকই ব্যয় হয় সেচকাজে। বোরো মৌসুমে সেচকাজে নিয়োজিত থাকে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ডিজেলচালিত পাম্প। সম্প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহন ও সেচ খরচও আনুপাতিক হারে বাড়বে। সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে চুক্তির সময় পাম্পমালিক ও কৃষকদের মধ্যে বিরোধ বাড়বে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তথ্যানুযায়ী, দেশের ১ কোটি ২৩ লাখ কৃষক ডিজেলচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে সেচকাজ পরিচালনা করেন। বাড়তি উৎপাদন খরচের কারণে এ বিপুল পরিমাণ কৃষক উদ্বেগের মধ্যে পড়বেন। বিএডিসি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের প্রায় ৫৫ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এখনো জমিতে সেচ দেয়ার ক্ষেত্রে অগভীর নলকূপের প্রাধান্য রয়েছে। ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়েই জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। মোট সেচকৃত এলাকার ৪৭ শতাংশ জমিতে সেচ প্রদানে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুচ্চালিত যন্ত্র। বাকি ৫৩ শতাংশ জমিতে পানি দিতে ব্যবহার করা হয় ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র। অর্থাৎ ডিজেলের বাড়তি দামের বোঝা গিয়ে পড়বে অর্ধেকেরও বেশি জমিতে চাষ করা কৃষকদের ওপর। বাংলাদেশে কৃষিজমি আবাদে মূলত কৃষি উপকরণ হিসেবে বীজ, সেচ, প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্ট অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৮ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব উপকরণ ব্যবহারের কারণে কৃষকের খরচ হয় গড়ে ১৪ হাজার ৯০১ টাকা। যার প্রায় ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ৬ হাজার ৪৭৩ টাকা ব্যয় হয় সেচকাজে। আবার গোটা কৃষি খাতে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় সেচকাজে। দেশে গত অর্থবছরে প্রায় ১৬ লাখ সেচযন্ত্র পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ডিজেলে চলেছে ১২ লাখ ৪৪ হাজার। বাকিগুলো বিদ্যুতে পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনে ডিজেলের ব্যবহার রয়েছে। এতে চলতি রবি মৌসুমের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকের বাড়তি খরচ হবে। সম্প্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ থেকে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। এ মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে কৃষি খাতে। বিশেষ করে আসন্ন বোরো মৌসুমে প্রথম ধাক্কা খাবেন কৃষক। বাড়তি খরচ করে উৎপাদনের পর ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি করা যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে কৃষকের। এরই মধ্যে আমন ধানে বাড়তি ব্যয় গুনতে হচ্ছে তাদের। জমি চাষসহ নানা কাজে খরচও বাড়তে শুরু করেছে। এ বিষয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্ব মালশাদহ গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম বণিক বার্তাকে জানান, নয় বিঘা জমিতে তিনি আমন ধান আবাদ করেছেন। চাষাবাদ এখন যন্ত্রনির্ভর। কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হয়, এরপর তা বাড়িতে আনা হয় বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এসব যানও ধান তোলার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ে দেরি হচ্ছে। আবার এ বছর বৃৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমে অনেক বেশি সেচের প্রয়োজন হবে। টাকা বাড়িয়ে না দেয়া পর্যন্ত শ্যালো ইঞ্জিনমালিকরা সেচ দিতে রাজি না। এভাবে ডিজেলের দাম বাড়লে তাদের কী উপায় হবে সে প্রশ্ন রাখেন তিনি। বাড়তি খরচ করলে সে অনুযায়ী দাম পাওয়া যাবে কিনা তা এখন মূল দুশ্চিন্তার বিষয়। আবার খরচ পোষাতে উৎপাদন কমিয়ে দেবেন কিনা সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাত মিলিয়ে আবাদ হয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। চলতি অর্থবছরে সেটি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেচের জন্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবারো বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা তৈরি করবে। বোরো ধানের আবাদ ছাড়াও সবজি, তেল, ডালজাতীয় খাদ্য ও দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হবে। এসব খাদ্য পণ্য উৎপাদনেও সেচের ব্যবহার হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য বলছে, গত বোরো সেচ মৌসুমে ছয় মাসে প্রয়োজন হয়েছিল প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টন ডিজেল। গত অর্থবছরের চাহিদার সমপরিমাণ ডিজেলের ব্যবহার হতে পারে চলতি বছর। এর মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে তেলের চাহিদা থাকবে ১ লাখ ৯৪ হাজার টন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ২ লাখ ৩৩ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার, মার্চে ৫ লাখ ৫ হাজার, এপ্রিলে সাড়ে তিন লাখ ও মে মাসে প্রায় এক লাখ টন। এসব ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়লে কৃষকের বাড়তি খরচ হবে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে কৃষকের পণ্য পরিবহন ও যান্ত্রিকীকরণের বাড়তি খরচও যুক্ত হবে। ফলে সেচ ও পরিবহন ব্যয়ের বাড়তি খরচ মিলিয়ে কৃষকের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বাড়তি ব্যয় হতে পারে। অবশ্য এ বাড়তি খরচ মেটাতে হলে কৃষককে বাড়তি দাম দিতে হবে। বাড়তি দাম দিলে চালের দাম বাড়বে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জাতীয় মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাণহানি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃত পক্ষে নির্বাচন এখন আইসিইউতে। এর
করোনা মহামারী আবারো বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরো ৭ হাজার ১৮৮ জন। অন্যদিকে
নিজস্ব প্রতিবেদক ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের পর এবার গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) উচ্চমূল্য থাকায় দেশের বাজারে তা সমন্বয় করতে
নিজস্ব প্রতিবেদক রাজধানীর বাজারগুলোয় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। প্রায় দুই মাস আগে বাজারে আসতে শুরু করে শীতের সবজি। শুরুতে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে কিন্তু এখন ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম খুব একটা কমেনি। শীতকালীন এসব সবজির দাম না কমায় অন্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এ মাসের শেষে সরবরাহ বাড়লে সব সবজির দাম কমে আসবে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ফুলকপি আকারভেদে ২০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৪০, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫-৫০, টমেটো ১০০-১২০, গাজর ১০০, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১২০ টাকা। এদিকে শিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকা কেজি হলেও এ সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৩৫-৪০, বরবটি ৪০-৫০, মুলা ৩৫-৪০, করলা ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ৮-১৫ টাকা আঁটি, লালশাক ১০-১৫ ও পালংশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়। বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিব রহমান বলেন, বাজারে এখন পর্যপ্ত শীতের সবজি রয়েছে। কিন্তু দাম আগের মতোই আছে। এসব সবজির দাম না কমানোয় অন্য সবজিতেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে বাধ্যহ হয়েই অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তবে গত বছর এমন সময়ে এসে সব ধরনের সবজির দাম স্বাভাবিক ছিল। কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. শওকত খান বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন সরবরাহ কম, আগামী সপ্তাহ থেকে সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমে আসবে। আশা করি, এ মাসের শেষে শীতকলীন সবজিসহ অন্যন্যা সবজির দাম একেবারে কমে আসবে। এদিকে বাজারে সবজির দাম না কমলেও কিছুটা কমেছে মুরগির দাম এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫-১৭০, সোনালি মুরগির কেজি ২৯০-৩২০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০-৩২০ টাকা। এছাড়া লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
রাজধানীর আজিমপুরের সরকারি কলোনির ধসে পড়া পুরনো সীমানাপ্রাচীরের নিচে চাপা পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নোটিশটি পাঠানো হয়েছে
দেশে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। রবিবার পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্ধারিত ভাড়া ঠিক করে দেয় সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর উল্টো চিত্র। আজ
অবশেষে জিম্মি ঘটনার অবসান ঘটল। পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেন গণপরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। তাদেরও চাওয়া পূরণ করল সরকার। বৃদ্ধি করা হলো বাসের ভাড়া। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে রাজধানীতে চলছে গণপরিবহণ।