নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বাজারগুলোয় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। প্রায় দুই মাস আগে বাজারে আসতে শুরু করে শীতের সবজি। শুরুতে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে কিন্তু এখন ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম খুব একটা কমেনি। শীতকালীন এসব সবজির দাম না কমায় অন্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এ মাসের শেষে সরবরাহ বাড়লে সব সবজির দাম কমে আসবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ফুলকপি আকারভেদে ২০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৪০, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫-৫০, টমেটো ১০০-১২০, গাজর ১০০, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১২০ টাকা।
এদিকে শিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকা কেজি হলেও এ সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৩৫-৪০, বরবটি ৪০-৫০, মুলা ৩৫-৪০, করলা ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ৮-১৫ টাকা আঁটি, লালশাক ১০-১৫ ও পালংশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়।
বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিব রহমান বলেন, বাজারে এখন পর্যপ্ত শীতের সবজি রয়েছে। কিন্তু দাম আগের মতোই আছে। এসব সবজির দাম না কমানোয় অন্য সবজিতেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে বাধ্যহ হয়েই অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তবে গত বছর এমন সময়ে এসে সব ধরনের সবজির দাম স্বাভাবিক ছিল।
কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. শওকত খান বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন সরবরাহ কম, আগামী সপ্তাহ থেকে সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমে আসবে। আশা করি, এ মাসের শেষে শীতকলীন সবজিসহ অন্যন্যা সবজির দাম একেবারে কমে আসবে।
এদিকে বাজারে সবজির দাম না কমলেও কিছুটা কমেছে মুরগির দাম এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫-১৭০, সোনালি মুরগির কেজি ২৯০-৩২০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০-৩২০ টাকা। এছাড়া লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
এছাড়া রাজধানীর বাজারগুলোয় মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি, রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৫০ টাকা কেজি, শিং ও টাকি ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, শোল ৫০০-৬০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৫০-১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।