1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সচিবালয়ে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত নতুন বছরে আলোচনায় থাকবে যেসব উদ্ভাবন উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য? এক্সক্লুসিভ কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে সচিবালয়ে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল প্রাণঘাতী কমিয়ে শর্ট ব্যারেল অস্ত্র তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস জাহাজে ৭ খুন: লাশ নিতে স্বজনদের ভিড়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন ৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ ♦ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্পে বিদেশি ঋণ কিস্তি পরিশোধের ঝুঁকি ♦ অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে Khulna-Dhaka train services via Padma Bridge begin officially

আয় কমে বড় বিপদে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১
  • ১৩৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকরোনা মহামারিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে বেশির ভাগ মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে, কারো কারো বন্ধই হয়ে গেছে। বিপরীতে নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে। ফলে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবে ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬.৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৯ সালে দেশের মানুষ ১০০ টাকা খরচ করে যেভাবে জীবন যাপন করতে পেরেছে, ২০২০ সালে সেটা করতে খরচ করতে হয়েছে ১০৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এ সময় খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩১ শতাংশ। গতকাল বুধবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ২০২০ সালের পণ্যমূল্য ও সেবার হ্রাস-বৃদ্ধির এই kalerkanthoপ্রতিবেদন প্রকাশ করে ক্যাব। সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইনসহ আরো অনেকে। এ সময় তাঁরা ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পৃথক বিভাগ অথবা পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ছোট ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত মানুষের আয়-রোজগার একেবারেই কমে গিয়েছিল। এতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বাড়তি ব্যয়ই অনেক বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায় সাধারণের জন্য।

প্রতিবেদন দেখা যায়, গড়ে পণ্যমূল্য ৬.৩১ শতাংশ হলেও চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ জরুরি অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত। গত তিন বছরের মধ্যে ২০২০ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়ে। এ সময়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের আয়-রোজগার ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। এতে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জীবনমান বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্যাব জানায়, রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবা সার্ভিসের মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবা সার্ভিসের সংগৃহীত মূল্য থেকে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ভোক্তার ঝুলিতে যেসব পণ্য ও সেবা রয়েছে, সেসব পণ্য বা সেবা পরিবারের মোট ব্যয়ের সঙ্গে তুলনা করে পণ্য বা সেবার মানের ভিত্তিতে জীবনযাত্রার ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে। এই হিসাবে ভোক্তার শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

পূর্ববর্তী ২০১৯ সালে এ বৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬.৫০ শতাংশ এবং ৬.০৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬ শতাংশ ও ৫.১৯ শতাংশ।

২০২০ সালে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বছরের শেষে আমন ধানের ভরা মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি থেমে থাকেনি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে চালের গড় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এর মধ্যে মোটা চালের দাম বেড়েছে (পারিজা ও স্বর্ণা) ২৭.৩৪ শতাংশ, পাইজাম চালে ২৫.৫৬ শতাংশ, বিআর ৮ ও বিআর ১১ চালে ২০.৬৮ শতাংশ, মিনিকেট চালে ১৪.৯৪ শতাংশ, নাজিরশাইল চালে ১৪.৩৩ শতাংশ।

আটার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিপ্রতি ৫.২৮ শতাংশ। দেশি ও আমদানি করা ডালের দাম গড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.১৮ শতাংশ। দেশি মসুর ডালের ২৮.৮৯ শতাংশ ও আমদানি করা মসুর ডালের ৪৮.৪৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্য তেলের দাম গড়ে ৮.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে খোলা পাম তেলে ১৭.১৭ শতাংশ এবং খোলা সয়াবিনে ১৪.২৫ শতাংশ বেড়েছে। চিনি ও গুড়ের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। মসলার দাম গড়ে বেড়েছে ২৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ৩১.০৪ শতাংশ, দেশি পেঁয়াজে ১৮.২৭ শতাংশ, আমদানি করা পেঁয়াজে ১৬.৮৩ শতাংশ এবং আমদানি করা শুকনা মরিচে দাম বেড়েছে ৩০.৪৯ শতাংশ।

শাক-সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ৯.৮৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে করলার ৩৪.৩০ শতাংশ ও কাঁচা মরিচের ৩১.৯৬ শতাংশ। আলুতে ২৫.৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২০ সালে ২০১৯-এর তুলনায় গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে গড়ে ১০.৪৯ শতাংশ, মুরগির দাম ১০.৮৩ শতাংশ আর ডিমের দাম গড়ে বেড়েছে ৫.৩২ শতাংশ। মাছের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.১৩ শতাংশ।

নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের গড় বাড়িভাড়া বেড়েছে ৫.৩৫ শতাংশ; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ফ্ল্যাট বাসায় ৭.৮৫ শতাংশ, বস্তিতে ঘরভাড়া বেড়েছে ৩.৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে সাধারণ শাড়ি-কাপড়ের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। ওয়াসার পানি প্রতি হাজার লিটারে দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আবাসিকে বিদ্যুতের গড় মূল্য বেড়েছে ৬.০৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক বিদ্যুতে মূল্য বেড়েছে গড়ে ৪.৮১ শতাংশ।

kalerkantho

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com