1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

পাবজি ও ফ্রি ফায়ার আসক্তে ধ্বংসের মুখে শিশু-কিশোররা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১
  • ৩৭৩ বার দেখা হয়েছে

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দিন দিন ইন্টারনেট ফাইটিং ফ্রি ফায়ার গেমসে ঝুঁকছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে এসব গেমসে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। দেখা গেছে, উঠতি বয়সের শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোররা দিন দিন ফ্রি ফায়ার এবং পাবজি নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ব্যস্ত থাকার কথা পড়ালেখা করে খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে, সেখানে তারা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে জড়িয়ে নেশায় পরিণত করছেন।

দশ বছর থেকে প্রায়২০ বছরের উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছেন। এসব দেশী-বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

চালা গ্রামের এক ফ্রি ফায়ার গেইমসের অনুসারী নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার নিকট ফ্রি ফায়ার গেমস আগে তেমন ভালো লাগতো না। আমাকে এক বন্ধু খেলা শিখিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি খেলতে খেলতে আমি নিজেই এখন এই গেমসে আসক্ত হয়ে গেছি। এখন আমার গেমস না খেললে প্রায় সময় অস্বস্থিকর মনে হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলকুচির আনাচে কানাচে গভীর রাত পর্যন্ত ১০-১৫ জন একত্রিত হয়ে এসব গেইম খেলে থাকেন কোমলমতি শিশু-কিশোররা।

বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন অলিগলি চিপাচাপায় বিভিন্ন সড়কের পাশে খেলার মাঠে রাত ২ টা পর্যন্ত উঠতি বয়সের শিশু-কিশোর জড়ো হয়ে চলে এসব গেইমস। স্থানীয়রা বলেছেন ‘আমরা পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানতামও না বুঝতামও না। এখন নিয়মিত ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমস খেলেন অনেক শিশু-কিশোররা। স্থানীয় যুবক আব্দুল আলীম জানায়, মাঝে মধ্যে গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয়। মোবাইলে নেট না থাকলে খেলতে পারিনা ভালো লাগে না। ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিজ্ঞজনেরা।

স্থানীয় সমাজসেবক শেখ মোহাম্মদ ফজলুল হক জানান,এ সমস্যা থেকে আমাদের ছেলে-মেয়েদের, বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল,জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রবীণরা বলেছেন, আমরা আগের সময় অবসর সময় বিভিন্ন খেলা ধুলার মধ্য দিয়ে কাটাতাম, কিন্তু ডিজিটাল যুগের শিশু-কিশোরদের দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। উপজেলার বিভিন্ন মোবাইল ইন্টারনেট গ্রুপ গেম মহামারী ধারন করেছে। শিক্ষার্থীরা অনেকে পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস,কখনো খারাপ সাইটে বিভিন্ন ছবিও দেখছে। এতে করে একদিকে তাদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তাই কিশোর- কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবার খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে এবং প্রতিটি সন্তানকে একটু যত্ন সহকারে খেয়াল রাখার দায়িত্ব বলে মনে করেছেন সচেতন মহল।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com