বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছে। যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ফলে শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পশ্চিমবঙ্গে দিকে যাবে। এক্ষেত্রে শনিবার নাগাদ বৃষ্টিপাত কমে যাবে। নিম্নচাপের ফলেই ঢাকাসহ, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভবে দমকা আকারে ২৫ থেকে ৩৫ কিমিতে ওঠে যেতে পারে।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা শনিবার নাগাদ কমতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায়, ২৫৩ মিলিমিটার। ঢাকায় হয়েছে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে, ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, অতিভারী বর্ষণের ফলে বান্দরবানে পাহাড় ধসে গেছে, প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদর। কক্সবাজার-বান্দরবানে দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা। এছাড়া ঝড়ের শঙ্কায় সমুন্দ্রবন্দরগুলোতে বলবৎ রাখা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। রয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কাও।