হাসান সোহেল ‘পুড়তে হবে না কাঠখড়, ক্ষয় হবে না জুতার তলাও। লাগবে না কোনো জামানত। চাইলেই কয়েক মিনিটেই পাওয়া যাবে ঋণ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রলোভন দেখিয়ে পাতা হচ্ছে ঋণের ফাঁদ। করোনায় দেশে সার্বিক অপরাধ কমলেও ধরন পাল্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনভিক্তিক বড় অপরাধপ্রবণতা বেড়ে গেছে। করোনার মধ্যে মানুষের প্রযুক্তিমুখী হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চক্রটি। এতে দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ঋণ নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু এখনো অন্ধকারে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ। করোনাকালে হঠাৎ করেই টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিচিতজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও যোগাড় করতে পারেননি প্রয়োজনীয় অর্থ। কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাশম্যান নামের অ্যাপভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটি ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে থাকে। অ্যাপটি ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট খুলতে তাহমিদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর এমনকি পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে তিন হাজার টাকার ঋণের আবেদন করেন। আবেদনটি গ্রহণ করা হলেও তাহমিদ পান ২১৯০ টাকা। সার্ভিস চার্জের নামে প্রতিষ্ঠানটি কেটে নেয় ৮১০ টাকা। এখানেই শেষ নয়। ঋণ পরিশোধে তাহমিদকে সময় দেয়া হয় ৩ কিংবা ৬ মাস নয়; মাত্র ৭ দিন। তাও পরিশোধ করতে হবে ৩০১৮ টাকা। অর্থাৎ ৩ হাজার টাকায় বাড়তি গুনতে হবে ১৬৩৮ টাকা। জামানতবিহীন ঋণের হাতছানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তাহমিদের মতো অনেকেই। জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রতারণার ধরন পাল্টেছে। এখন বেশিরভাগ প্রতারণা অনলাইনভিত্তিক হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে মোবাইলে রিচার্জ বা যেকোনো কেনাকাটা করতে পারছে; আবার এখানে মানুষ প্রতারিতও হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি কোনো নিয়মনীতি বা লাইসেন্সের বিষয় না থাকায় অনেকে নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলে বসছে। মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হবে সে সুযোগও কম। দ্রুত এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মনিটরিং করা দরকার।
প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে শত শত প্রতারণা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন এ রকম হাজার হাজার ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফেসবুকে একটি গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপের সদস্য রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনে এসব সুদের কারবারিদের প্রথম টার্গেট বেকার যুবক। এদের অধিকাংশরাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অথবা করোনাকালে কাজ হারানো মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ চালানো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বিপদে পড়েছেন। পরিবার ও আশপাশের মানুষের কাছে সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়েই চড়া সুদের জালে পা দিচ্ছেন তারা।
এদিকে এসব অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হচ্ছে তার কোনো তথ্য নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানেই না এসব অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বের কথা। অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের ফেসবুকে পেইজে অভিযোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সমাজবিজ্ঞানীরা।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইনভিত্তিক কাজ বেড়েছে। মানুষের প্রযুক্তিমুখী হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে অপরাধচক্র। তারা সাইবারজগতে ফাঁদ পেতে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে, ফেলছে বিপদে। অনেক ক্ষেত্রে তারা ধরা পড়লেও সবধরনের প্রতারণার সাজা একই হওয়ায় বড় অপরাধ করেও অনেকে ছাড় পেয়ে আরও বড় অপরাধে জড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক কোনো ঋণ দেয়ার আগে গ্রাহকের তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নেয়। কিন্তু কোনো চক্র যদি অনলাইনে এমন অ্যাপস খুলে ঋণ দিতে চায় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু করার থাকে না। কারণ, বারবার গ্রাহককে বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হয়েছে এসব ফাঁদে যেন না পড়ে। কিন্তু এরপরও এক শ্রেণি এটার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ নিরীহ মানুষ এদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ভুঁইফোর প্রতিষ্ঠান খুলে একটি গ্রুপ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী এসব প্রত্যারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্বিকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তদারকি এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু সক্ষমতার অভাবে স্বাভাবিকভাবে সেই কাজটিই করতে পারছেনা প্রতিষ্ঠান। এরপর আবার এমএফএস ও ই-কমার্সের দায়িত্ব। যদিও তদারকি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও রয়েছে বিরোধ। তাই প্রতারক চক্রটিও বেপরোয়া হয়ে অনলাইনে ঋণের ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের শত শত কোটি টাকা।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এমএফএস ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকির জন্য পৃথক নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি জানিয়ে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি এ ধরনের প্রতারণারোধে দ্রুত পৃথক নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্দিষ্ট করার আহ্বান জানান।
অনলাইন প্লাটফর্মে বেশ আলোচিত অ্যাপস ‘র্যাপিড লোন’। মোবাইলে অ্যাপসটি নামালে নিয়মনীতি তুলে ধরা হয়। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ঋণ দেয় এই অ্যাপস, যা ১২০ দিনের মধ্যে পরিশোধের শর্ত যুক্ত করা হচ্ছে। তবে, ঋণের পরিমাণ কম হলে সময় কমিয়ে নির্ধারণ হয়। মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করে অ্যাপসে নিবন্ধন করতে হয়। প্রবেশের পর স্পিন কুপনের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করার শর্ত রয়েছে। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, এনআইডি কার্ডের নম্বর, ছবি, এনআইডি কার্ডের সঙ্গে সেলফি যুক্ত করে পূরণ করতে হয়। ঠিকানার সঙ্গে এলাকা, সড়ক নম্বর, পাড়া, মহল্লা যুক্ত করতে হয়। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন সংখ্যা এবং পেশাও তুলে ধরার শর্ত যুক্ত করে দিচ্ছে অ্যাপস র্যাপিড লোন।
দেখা যায়, যারা প্রথম গ্রাহক তাদের সচরাচর ২০০০ টাকা ঋণ দেয়া হয়। আর ২০০০ টাকা ঋণ চাহিদা দিলে, অ্যাপসটি গ্রাহককে দেবে ১৬৮৫ টাকা। তবে, পরিশোধ করতে হবে ২০০৫ টাকা। এক্ষেত্রে কেটে রাখা হবে ৩১৫ টাকা। ঋণ পরিশোধের শর্ত দেয়া হয় সাত দিন। তবে, প্রথম গ্রাহককে কম পরিমাণ অর্থাৎ ১০০০ টাকাও সর্বনিম্ন ঋণ দেয়া হয়। ঋণ দেবার ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জের নামে হচ্ছে ছলচাতুরি। বলা হয়, অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ ১২০ টাকা, ডাটা অ্যানালাইসিস ফি ১৮০ টাকা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ টাকা এবং সুদ বাবদ ৫ টাকা কেটে রাখা যুক্তি দেয়া হয়। তবে, পরিমাণ যতো বেশি হবে টাকা কেটে রাখার প্রবণতাও বেশি। তথাকথিত ঋণের টাকা গ্রাহককে পরিশোধ করা হচ্ছে বিকাশ অথবা নগদ অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই।
‘র্যাপিড ক্যাশ’ অ্যাপসে যোগাযোগের কোনো ফোন নম্বর দেয়া নেই। অ্যাপসে বলা আছে, ‘আমরা কোনো ব্যাংক নই। কিন্তু আমরা অনলাইন মার্কেট প্লেসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ঋণগ্রহণকারীদের সংযুক্ত করি।’ কিন্তু ঋণ কে দেয় বা বিনিয়োগকারী কারা তার কোনো তথ্য দেয়া নেই। অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়, কোন মানদন্ডে এসব ঋণ দেয়া হয়? উত্তর আসে, এআই প্রযুক্তি আপনার ঋণ বিভিন্ন যুক্তিবিজ্ঞান এবং গাণিতিক পরিভাষার মাধ্যমে পর্যালোচনা করে থাকবে।
এসব অ্যাপসে ঋণ দেয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন আছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়নি ‘র্যাপিড ক্যাশ’। এই ঋণ দেয়া এবং নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অথবা কোনো সম্মতি আছে কি-না? এ প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেয়নি র্যাপিড ক্যাশ।
প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশ্লেষক লিপন মুস্তাফিজ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনকৃত প্রতিষ্ঠানই শুধুমাত্র ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু অনলাইনে ব্যাংকের বাইরে এ ধরনের অ্যাপসের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ডিজিটাল সুবিধার অপব্যবহার হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থাকছে না। সার্ভিস চার্জের নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বড় অংকের অর্থ।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল মাসুদ বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে ঋণ দিতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়। আবার ওয়েবপেজভিত্তিক ব্যবসা করতে চাইলে ই-কমার্স, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এসব অনুমোদন না নিয়ে যদি তারা ঋণ বা লভ্যাংশ দেয়, তবে অবশ্যই সেটা প্রতারণা। তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তারা এখনও পাননি। যদি কেউ অভিযোগ করে যে প্রতারিত হয়েছে, তাহলে অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমানে ফেসবুকে র্যাপিড ক্যাশ, ক্যাশম্যান, ক্যাশক্যাশ, টাকাওয়ালা, এমক্যাশ বাংলাদেশসহ বেশকিছু অ্যাপসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রচলিত ব্যাংকিং নিয়মে একজন গ্রাহককে সুদ দিতে হয় ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। অথচ অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস চার্জের নামে গ্রাহককে সুদ দিতে হচ্ছে ৫০ শতাংশের বেশি। অভিযোগ আছে, গ্রাহকের ফোন হ্যাক করারও। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অ্যাপসগুলোর ফেসবুক পেইজে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের কোনো ঠিকানা নেই। দেয়া হয়নি যোগাযোগের নম্বরও। তবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া নম্বর নিয়ে র্যাপিড ক্যাশ ও ক্যাশম্যানের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেয়া হয়। অনলাইনে ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন আছে কি-না, সেসব বিষয়ে জানতে অফিসের ঠিকানা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে, তা দিতে অস্বীকৃতি জানান গ্রাহক প্রতিনিধিরা।
অনলাইনে প্রতারণার বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মানুষ এখন তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর বা অনলাইনের প্রতি তাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। আর তাই সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে বিভিন্নভাবে মানুষ প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যেখানেই মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ে সেখানেই একধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষ সংক্ষিপ্তপন্থায় ধনী হবার চেষ্টা করে। তিনি মানুষের প্রতি র্যাবের পরামর্শ হিসেবে উল্লেখ করেন- এমন কোনো লেনদেনের বেলায় কাউকে যেন সহজেই বিশ্বাস না করা হয়। যে কোনো লেনদেনের পূর্বে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন কোনো প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়তে যাচ্ছেন কি-না।