রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, সরকার রেলখাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্যই বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে। এ কারণে রেলওয়েতে এখন উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রেলভবনে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০ টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের আলাদা দু’টি প্রকল্পের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলখাত এগিয়ে চলেছে। পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। কোচের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে রেলের মাধ্যমে সহজে যাতায়াত করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর আগে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান ও স্মেক এর পক্ষে এ এস সাবাহ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরামর্শকের চুক্তিমুল্য প্রায় চারশত সতের কোটি টাকা। চুক্তির মেয়াদ ৬০ মাস। এডিবির অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
৫টি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল ঝগঊঈ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ (অঁংঃৎধষরধ), ঈঅঘঅজঅওখ ঈড়হংঁষঃধহঃং (ঈধহধফধ), ঝণঝঞজঅ (ঋৎধহপব), অঈঊ ঈড়হংঁষঃধহঃং (ইধহমষধফবংয), ঝঞজঅঞঊএও ঈড়হংঁষঃরহম (ইধহমষধফবংয)
পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০ টি মিটার গেজ কোচ সংগ্রহের জন্য অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকার প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর জ.অমঁং ঐ চঁৎহড়সড়. এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত জরহধ চ ঝড়বসধৎহড় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকা পাঁচ শত ঊনআশি কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় ২০০টি মিটারগেজ কোচ সরবরাহ করবে। ২০ থেকে ৩৩ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোচগুলো সরবরাহ করবে। এটিও এডিবির অর্থায়য়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
উভয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।