দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। তিনি অন্য দেশের মতো মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদেরও এ ধরনের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মালয়েশিয়ান পণ্যের প্রদর্শনী ‘৫ম শোকেস মালয়েশিয়া-২০১৭’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ইদহাম জুহরী মোহামেদ ইউনুস (ওফযধস তঁযৎর গড়যধসবফ ণঁহঁং), বিএমসিসিআই’র সভাপতি স্থপতি মোঃ আলমগীর জলিল ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্যের পর বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ঐকমত্যের ফলে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে তিনি উভয় দেশের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও সামাজিক সম্পর্কের ফলে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের এ বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান পণ্যের প্রদর্শনী আয়োজনের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সহজ হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা শিল্পখাতের ৬০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্টে মালয়েশিয়ার প্রায় ১শ’ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ খ্যাতনামা চেম্বার নেতা ও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা অংশ নিচ্ছেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।