কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করে প্রত্যেক ব্লকের সার্বিক তদারকির জন্য কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি, নিরাপত্তা প্রদান, রেজিস্ট্রেশনে সহযোগিতা করবে।
ত্রাণমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে সম্প্রতি আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানান।
সভায় জানানো হয়, কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করবে। শেড নির্মাণ ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা কাজ করবেন। ২০টি ব্লকে রোহিঙ্গাদের আবাসন নিশ্চিত করা ও নতুন আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ব্যবস্থা করবেন। তারা সার্বক্ষণিক ক্যাম্প এলাকায় থেকে ক্যাম্পের খাদ্য মজুদ ও চাহিদা নিরূপণ করে সদরদপ্তরকে অবহিত করবেন এবং প্রতিদিনের ক্যাম্প পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট করবেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একান্ত মানবিক কারণে মায়ানমার সরকারের নির্যাতন ও সহিংসতায় পালিয়ে আসা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছেন। সরকার তাদের সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতা করবে। মায়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। ততদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা যাতে সব ধরনের মানবিক সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সকল আশ্রয়প্রার্থীর আশ্রয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন তাদের চিকিৎসা, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশি বিদেশি সংস্থা এর জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে। রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সহসাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. শাহ্ কামাল, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।