আজ রবিবার রাত ৮টায় সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বজয়ী হলেও নিউজিল্যান্ড কম যায় না। এর আগে টেস্ট-ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বহু ম্যাচে লড়েছে তারা। আজকের ম্যাচটিও উত্তেজনা ছড়াবে তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। সেই লড়াই দেখার আগে অতীতে ফিরে তাকানো যাক। পাঠকদের জন্য রইল নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সেরা তিন লড়াইয়ের স্মৃতিচারণ।
১৯৭৪, ক্রাইস্টচার্চ
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড
প্রায় ৩০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডকে উপেক্ষা করছিল অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে কিউইদের তারা পাত্তাই দেয়নি। তারপরও ১৯৭৪ সালে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় অস্ট্রেলিয়া। সফরের ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টটি ড্র হয়। তবে পরের টেস্টে চমক দেখায় নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন ওপেনার গ্লেন টার্নার। প্রথম ইনিংসে ১০১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১১০ রান করেন তিনি। এতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ড। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটিই ছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়।
১৯৮১, মেলবোর্ন
নিউজিল্যান্ডকে ৬ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচটি দারুন জমে উঠেছিল। কিন্তু ম্যাচটি বির্তকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। যা এখনও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বির্তকিত ম্যাচ। টাই করতে শেষ বলে ছক্কার দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। বোলিং আক্রমণে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল তার ছোট ভাইকে আন্ডারআর্ম বল করার নির্দেশ দেন। অধিনায়কের পরামর্শ মত বলও করেন ট্রেভর।
এতে বল গড়িয়ে গড়িয়ে যায় ব্যাটারের কাছে। ব্যাট হাতে স্ট্রাইকে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের টেল-এন্ডার ব্যাটার ব্রায়ান ম্যাককেচনি। বল আন্ডারআর্ম করায় রেগে ব্যাট ছুঁড়ে মারেন ম্যাককেচনি। পরে চ্যাপেলের ওই সিদ্ধান্ত ক্রিকেট জগতে সমালোচনার ঝড় তুলে। নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রবার্ট মুলডুন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটা সত্যিকারের কাপুরুষোচিত কাজ।’
২০১৫, অকল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়াকে ১ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড
২০১৫ সালে ইডেন পার্কে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ছিল ইতিহাসের সেরা ম্যাচগুলোর একটি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তোপে ৩২.২ ওভারে তারা ১৫১ রানে অল-আউট হয়। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নেন বোল্ট।
জবাবে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝড়ো ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডকে সহজ জয়ের পথেই রেখেছিল। কিন্তু ম্যাককালামের আউটের পর অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে মহাবিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তারপরও একপ্রান্ত আগলে দলকে ১ উইকেটের জয় এনে দেন বর্তমান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪২ বলে ৪৫ রান করেন উইলিয়ামসন। ২৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান করেন ম্যাককালাম।