1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ডলারের বাজার আবার অস্থির Govt grants 10-year tax holiday for renewable energy firms Mobile surveillance used in pinpointing victims’ location: Commission গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির পরিকল্পনায় ডিসেম্বর ২০২৫ ভোটার তালিকায় ত্রুটি নেই দাবি ইসির সরকারের এক পক্ষ ২০২৬-এর এপ্রিলে, বিএনপিসহ সমমনারা চায় ২০২৫-এর জুনের মধ্যে ভোট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও বিভিন্ন দল লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ফের আন্দোলনে নামছে বিএনপি দ্রুত সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি, চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি

মেসেজে জানা যাবে মোবাইল ফোন সেট বৈধ না অবৈধ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৯৯ বার দেখা হয়েছে

এখন থেকে কেউ নতুন মোবাইল ফোন সেট কিনতে গেলে মেসেজ দিলেই জানতে পারবেন সেটটি বৈধ না অবৈধ। কেউ যেন অবৈধ সেট কিনে প্রতারিত না হন- সে কারণেই গতকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে আইএমইআই ডাটাবেজের। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই ডাটাসেন্টারের উদ্বোধন করেন।

তবে এখনই সব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর তথ্য ডাটাবেজে উঠেনি। এরজন্য কিছুদিন সময় লাগবে। শুধুমাত্র গত পহেলা জানুয়ারি থেকে যেসব সেট আমদানি হচ্ছে সেগুলো ডাটাবেজে উঠছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি কার্যালয়ে এই ডাটাবেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক, মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক, রবির সিইও মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসির কমিশনার, মহাপরিচালকসহ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এখন থেকে যে কেউ নিজের সেটের তথ্য যাচাইয়ের জন্য KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে দিলে ফিরতি মেসেজে জানানো হবে, তার সেটটি ডেটাবেইজে সংরক্ষিত রয়েছে কি-না। ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি) সেবা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে ব্যবহৃত সব নম্বর এ ডেটাবেইজে এখনই পাওয়া যাবে না। শুধু ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বৈধভাবে আমদানিকৃত এবং স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত হ্যান্ডসেটের বেশিরভাগ আইএমইআই নম্বর এই তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে। পর্যায়ক্রমে সব নম্বর ডাটাবেজে ঢুকবে।

অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে এটি মাইলফলক মুহূর্ত। চুরি করে হ্যান্ডসেট আমদানি করায় যে রাজস্ব ক্ষতি হত, তা ঠেকানো প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়, এখন ঠেকানো যাবে। শুধু রাজস্ব নয়, নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।’ জানা গেছে, সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, বাজারে যত মোবাইল হ্যান্ডসেট আছে, তার প্রতি তিনটির মধ্যে অন্তত একটিই নকল বা অবৈধ। তাদের হিসাবে প্রতি বছর এক থেকে দেড় কোটির মতো অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজার আসছে, যার বাজার মূল্য প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। গেল বছর এটা এক হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, ৯ কোটি মানুষ ১৫ কোটি সিম ব্যবহার করে এবং আনুমানিক ১০ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে থাকে। এ ডেটাবেইজ চালু হওয়ায় এখন প্রকৃত সংখ্যাই বলা যাবে। বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট নিয়ে এলে তা বৈধ করার প্রক্রিয়া কী হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে নাসিম পারভেজ বলেন, ‘বিদেশ থেকে সেট নিয়ে আসলে এয়ারপোর্ট বা স্থলবন্দরে কাস্টমসকে বললেই ট্যাক্সসহ বা ট্যাক্স ছাড়া রশিদ দেবে তাতে ওইসব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা যাবে। সেটা ডাটাবেজে উঠে যাবে। বর্তমানে বিদেশ থেকে দু’টি সেট ট্যাক্স ছাড়া আনার সুযোগ রয়েছে। বেশি হলে ট্যাক্স দিতে হয়। যারা ইতোমধ্যে নিয়ে এসেছে, তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ ভবিষ্যতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডিনটেটি রেজিস্টার (এনইআইআর) স্থাপিত হলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক বলেন, এখাতে এখন সৎভাবে যারা ব্যবসা করছে, তাদের জন্য ব্যবসা সহজ হবে এবং অসৎ ব্যবসায়ীরা থাকতে পারবে না। বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহায়তায় চালু হয়েছে এই ডাটাসেন্টার।

এখন থেকে ক্রেতারা হ্যান্ডসেট কেনার আগে আইএমইআই ডেটাবেজ থেকে আইএমইআই নম্বর যাচাই করতে পারবেন, ফলে অবৈধ আমদানি করা হ্যান্ডসেট এ ডেটাবেইজে পাওয়া যাবে না। ফলে ক্রেতারা অবৈধ হ্যান্ডসেট কেনায় নিরুত্সাহিত হবেন। এতে অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানি হ্রাস পাবে। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কমে আসবে। এই ডাটাবেজটি পুরোপুরি চালু হলে অবৈধ কোনো সেটে সিমকার্ড চালু হবে না। এর ফলে মোবাইল ফোন সেট চুরি কমে যাবে। কারণ সেই সেটে মালিক চাইলে সেট বন্ধ করে দিতে পারবেন। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের অপরাধও কমে যাবে।

ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com