নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ পদ্ধতির ওপর আস্থা নেই বেশির ভাগ অভিভাবকের। বিরোধিতা করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনও হচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে তাদের সন্তান আদৌ কিছু শিখছে না, ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত তারা। সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুলসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন করেন অভিভাবকরা। তবে এ বিরোধিতার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কর্মকর্তাদের দাবি, কোচিং সেন্টারের মালিক ও নোট-গাইডের ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থেই একশ্রেণির অভিভাবককে ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামিয়েছেন, উস্কানি দিচ্ছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিও যুক্ত হয়েছে। যদিও সাধারণ অভিভাবকদের দাবি– কারও উস্কানি নয়, জেনেবুঝেই আন্দোলন করছেন তারা। এমন প্রেক্ষাপটে স্কুলে স্কুলে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সরকারি প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গত জানুয়ারিতে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয় নতুন শিক্ষাক্রম। আগামী বছর আরও তিনটি শ্রেণিতে হবে এ কার্যক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রচলিত মূল্যায়ন পদ্ধতি তথা পরীক্ষা পদ্ধতি নেই। একাধিক অভিভাবক সমকালকে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা পড়বে, মুখস্থ করবে ও পরীক্ষা দেবে। উত্তরপত্রে যা লিখবে, তার ভিত্তিতেই সে মূল্যায়িত হবে। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে শিশুরা কিছুই শিখতে পারছে না। মূলত অভিভাবকরা পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ক্ষুব্ধ। ‘পরীক্ষাবিহীন’ পড়াশোনায় আস্থা রাখতে পারছেন না তারা। এমনকি শিক্ষকরাও এ নিয়ে বিপাকে। রাজধানীর মনিপুর স্কুলের অভিভাবক আজিমুল হক আজিম বলেছেন, সন্তানরা স্কুলে যাচ্ছে-আসছে, কিছুই পড়ছে-লিখছে না। হোমওয়ার্ক, প্রাইভেট টিউশনিও চাইছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যা শিখছে, বাড়িতে যা করছে, সেটিকে আর যা-ই হোক ‘পড়াশোনা’ বলা যায় না।বিস্তারিত