প্রাচীনকাল থেকে বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদরা যুদ্ধের মারাত্মক আবিষ্কার এবং উন্নতকরণে সাহায্য করে আসছেন। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে পারমাণবিক বোমা তৈরির ম্যানহাটন প্রজেক্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে যার ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ববাসী। মানব সভ্যতার শুরু থেকে অনেক বিজ্ঞানী স্বেচ্ছায় অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করেছেন। যদিও সামরিক এসব মারণাস্ত্রের জন্য সভ্যতার এমন করুণ পরিণতি তারা কখনোই চাননি। রইল কয়েকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর মারণাস্ত্র তৈরির গল্প। যাঁরা এসব অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন…
২৮৭ খ্রিস্টপূর্ব [ ইতালি ]
পৃথিবীখ্যাত বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস। প্রাচীন গ্রিকের এই গাণিতিক ও বিজ্ঞানী জন্মেছিলেন ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ সিসিলির সাইরাকিউস নামে একটি ছোট্ট রাজ্যে। পাটিগণিত, জ্যামিতি ও হাইড্রলিক্সে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বেশি স্মরণীয়। বিখ্যাত এই বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত মারণাস্ত্র রোমানদের আক্রমণ থেকে নিজেদের শহরকে রক্ষায় ব্যবহার করা হতো। এ রকম একটি অস্ত্র- ক্যাটাপল্ট। যার মাধ্যমে ৭০০ পাউন্ড ওজনের পাথর শত্রুপক্ষের দিকে ছুড়ে দেওয়া যেত। পাশাপাশি এর মাধ্যমে তীরও ছোড়া যেত। বিশ্লেষকদের ভাষ্য, আর্কিমিডিস হয়তো এর প্রথম আবিষ্কারক নন। কারণ, মার্সেলাসের অধীনস্থ রোমান সেনাবাহিনীর কাছেও বড় পরিসরে ক্যাটাপল্ট চালানোর ব্যবস্থা ছিল। সে যাই হোক, আর্কিমিডিসের আরেকটি আবিষ্কার ছিল আতস কাচ। যা সমুদ্রের পাশে অন্ধচন্দ্রকারে সাজিয়ে সূর্যের রশ্মিকে প্রতিফলিত করে রোমানদের যুদ্ধ জাহাজের পালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যেত। এই আসত কাচ গল্পের নেপথ্যে ছিলেন সাইরাকিউসের রাজা হায়রো। রাজা খবর পেলেন রোমানরা রাজ্য আক্রমণ করার জন্য সমুদ্রপথ থেকে আসছে। রাজার আদেশে আর্কিমিডিস গবেষণায় বসে পড়লেন। আর্কিমিডিস-এর নজরে ছিল এমন এক অস্ত্র যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের জাহাজ উল্টে দেওয়া সম্ভব। আর্কিমিডিস রোমান জাহাজে আগুন লাগানোর জন্য সূর্যের আলোর প্রতিফলনকারী একটি বিশালাকার আয়না তৈরি করেছিলেন। যা তৎকালীন যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পেয়েছিল।বিস্তারিত